আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় কিশোরকে কুপিয়ে জখম

আগের সংবাদ

আবারও অসহায়-কর্মহীনদের পাশে ব্যারিস্টার ইমাম হাসান

পরের সংবাদ

নিখোঁজ কলেজ শিক্ষকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

ইস্কান্দার হোসাইন ( রুদ্র )

প্রকাশিত :৩:১৮ অপরাহ্ণ, ০৯/০৮/২১

সাভারের আশুলিয়ায় ১৯ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজ শিক্ষকের খণ্ডিত মরদেহের ৫টি অংশ উদ্ধার করেছে র্যাব। মাথা আশকোনার একটি ডোবা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

সোমবার (০৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভিতরে পুঁতে রাখা লাশের ৫ টুকরো উদ্ধার করে র‌্যাব।

নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন রেসিডেনশিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তার বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামে।

র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার মঈন খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনা কালীন সময়েও স্কুলটিতে কোচিং পরিচালনা করে আসছিলো, গত ১৩ জুলাই কোচিংয়ের পরবর্তী সময়ে ১০৬ নম্বরে মিন্টুকে ডেকে নিয়ে যায় রবিউল এবং তার ভাগ্নে বাদশা। এ সময় মিন্টুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাদশা আঘাত করে। পরে তাকে ছয় টুকরো করে পাঁচ টুকরো স্কুলের আঙিনায় পুঁতে রাখে। এবং একটি অংশ রাজধানীর আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ৭ জুলাই এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। মিন্টু বর্মণ খুব ভালো শিক্ষক হওয়ায় পেশাগত হিংসা ও প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করে তারা। এরপর থেকেই রবিউল পলাতক ছিল। গতকাল রাতে রবিউলকে আব্দুল্লাপুর থেকে, বাদশাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে আর মোতালেবকে আশকোনা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপরে রবিউলের দেওয়া তথ্য মতে, স্কুলের আঙিনা থেকে মিন্টুর শরীরের পাঁচটি অংশ উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে হত্যার কাজে ব্যবহৃত সকল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্যে যে, মিন্টু চন্দ্র বর্মণ গত সাত বছর আগে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এসে আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। পরবর্তী সময়ে দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন অধ্যক্ষ।

গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না। পরে এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার।