ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৫ বাংলাদেশি

আগের সংবাদ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র : প্রতিবাদে মানববন্ধন

পরের সংবাদ

মুখে মাটি ভরে ঘাড় মটকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাব্বিকে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :৯:০৬ অপরাহ্ণ, ০১/০৬/২৩

কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার চাঞ্চল্যকর শিশু রাব্বি (৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শিশু রাব্বির মুখের ভেতর মাটি ভরে ঘাড় মটকিয়ে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনের মধ্যে মো. দিদারুল ইসলাম পায়েল (৩৩) নামে এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমানের আদালতে আসামি মো. দিদারুল ইসলাম পায়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জাহান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার আসামি মো. দিদারুল ইসলাম পায়েল জেলার নিকলী উপজেলার ছাতিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে এবং তনয় খান (১৯) একই উপজেলার কূর্শা মাইজহাটি গ্রামের জমশেদ খানের ছেলে।

বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার রাব্বি নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কূর্শা মাইজপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাব্বি স্থানীয় কূর্শা বিদ্যালয় মডেল একাডেমি কিন্ডারগার্টেনে প্লে শ্রেণিতে পড়ত। ১৯ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাব্বি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন ২০ মে দুপুর ২টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামের তুহিনের একচালা ছাপরা ঘরের চৌকির নিচ থেকে রাব্বির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই রাতে রাব্বির বাবা আমির হোসেন নিকলী থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জাহান। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিকলী উপজেলার রসুলপুর বাজার থেকে পায়েল ও তনয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পায়েল ও তনয়কে নিয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের দেখানো স্থান থেকে শিশু রাব্বি ব্যবহৃত একটি খেলনা গাড়ি ও একটি ক্রিকেট বল উদ্ধার করে।

বুধবার ৩১ মে বিকালে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমানের আদালতে আসামি মো. দিদারুল ইসলাম পায়েলকে সোপর্দ করা হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিশু রাব্বিকে নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা দেন।

এ সময় সে আরও জানায়, কিছুদিন আগে রাব্বির ফুফুর সঙ্গে ডিভোর্স হয় দিদারুল ইসলাম পায়েলের। এ কারণে রাব্বির বাবা আমির হোসেনের সঙ্গে পায়েলের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ নিয়ে সে ক্ষোভে আমির হোসেনের পরিবারকে শিক্ষা দিতে তনয় খানকে সঙ্গে নিয়ে শিশু রাব্বিকে ধরে নিয়ে যান। তারপর মুখের ভেতর মাটি ভরে কণ্ঠ রোধ করে ঘাড় মটকিয়ে রাব্বিকে হত্যা করে তারা।