সব
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করায় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। ঈদের ৩য় দিন ২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই লকডাউনের সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে লকডাউনে গার্মেন্টস সহ সকল শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় ঈদের লম্বা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ছুঁটে গেছেন লাখ লাখ শ্রমিক।
কারখানা মালিকদের অনুরোধে হঠাৎ করে রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধি নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। আগামীকাল ১ আগস্ট থেকে শিল্প কারখানা খোলার কথা থাকায় বাড়তি ভাড়া আর চরম দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন শ্রমিকরা। টাঙ্গাইল থেকে আসা জিল্লুর রহমান নামের একজন যাত্রী জানান, বাসে টাঙ্গাইল থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত এসেছেন। যার সর্বোচ্চ নিয়মিত ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এরপরে তিনি ইজিবাইকের মাধ্যমে চন্দ্রা থেকে বাইপাইল এসেছেন ১০০ টাকা দিয়ে। যার নিয়মিত ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা। টাঙ্গাইল থেকে আসা শফিক মিয়াও বলেন এক ধরনের কথা। তিনি অবশ্য এসেছেন ট্রাকে করে। গুনতে হয়েছে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি টাকা। শিফালী বেগম নামের এক পোশাক শ্রমিক জানান, তিনি অনেক কষ্টে জামালপুর থেকে ট্রাকে করে বাইপাইল এসেছেন ৩/৪ গুন বাড়তি ভাড়া দিয়ে। এখন বাইপাইল থেকে জামগড়া যাবেন ১০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা চাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাইপাইলে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেক কষ্টে বাইপাইল আসলেও গাড়ির অভাবে তারা এখন বাসায় ফিরতে পারছেন না। যাও দু-একটি ট্রাক কিংবা মিনি পরিবহন আছে তারা ৪/৫গুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে ট্রাক কিংবা মিনি পরিবহনের লোকজন যাওয়া আসা করলেও সেখানে সামাজিক দুরুত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মানার কোনো বালাই নেই।
এ ব্যাপারে শ্রমিক নেতা সারোয়ার হোসেন বলেন, বার বার ভূল সিদ্ধান্তের কারণে শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বলা হয়ে ছিল ঢাকায় অবস্থান রত শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার জন্য। অথচ আমরা জানতে পেরেছি এসএমএস বা ম্যাসেজর মাধ্যমে শ্রমিকদের কে ডিউটিতে অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কারণে ২শ টাকার ভাড়া ২ হাজার টাকা দিয়ে চরম দুর্ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। যারা এ দেশের অর্থনীতির মূল হাতিয়ার তাদের নিয়ে এ ধরনের ছেলেমানুষি খেলা অত্যান্ত দুঃখজনক।