সব
তীব্র গরমে ও দাবদাহে সারাদেশের ন্যায় আশুলিয়াতেও জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গরমের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন তারাও চলার সময় পানির অভাবে পড়েন। এমনি অবস্থা যখন চলমান তখন ভর দুপুরে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছে এক শ্রমিকনেতা।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাসট্যান্ডে পথচারী, রিকশা-ভ্যান ও গাড়ির চালক, যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত বিতরণ করেন শ্রমিক নেতা লায়ন মোঃ ইমাস হোসেন।
এ সময় প্রায় তিন হাজার জনসাধারণের মাঝে এই শরবত বিতরণ করা হয়। তাদের এই শরবত বিতরণ কার্যক্রম আগামী ৫ দিন চলবে বলে জানানো হয়। এই শরবত তৈরীতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আপেল, তরমুজ, আনারস, কলা, লেবু, টেসমি, তোকমা, লেবু ও ইসাবগুলের ভুষি।
এ সময় শরবত পেয়ে পথচারীরা আয়োজনকারীদের অনেক ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে তাদেরকে এই কার্যক্রমের জন্য বেশ প্রসংশা করেন।
পথচারী রুমি বেগম জানান, এখানে কাজে এসেছিলাম। গরমে খুব তৃষ্ণা লাগছিলো। এই ঠাণ্ডা শরবত খেয়ে শরীরে স্বস্তি ফিরে এলো।
শ্রমিক নেতা লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। বিশেষ করে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তায় বেড় হলে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে হিটস্ট্রোকের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই শরীর শীতল রাখার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। বিভিন্ন ফল মিশ্রিত ঠাণ্ডা শরবত শরীর অনেক সতেজ করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা সরোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ও গোলাপসহ আরও অনেকে।