রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষায় শ্রমিক সমাবেশ

আগের সংবাদ

মতিউর রহমান মতিনকে আবারো সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চায় তৃণমূল

পরের সংবাদ

সাভারে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৭:৫৩ অপরাহ্ণ, ৩০/১১/১৯

শেখ এ কে আজাদ, সাভার:

সাভারের হেমায়েতপুরের ফুলবাড়িয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির

অভিযোগ উঠেছে। স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলেও মানছে না সরকারী কোন নির্দেশ। আশেপাশের স্কুলে ফলাফল ফলশ্রুতি হলেও এ স্কুলে লিখাপড়ার মান নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। স্কুলে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও ৮১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।কিন্তু ২০২০ পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে স্কুলের নামে অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি বাবাদ ২০০০ হাজার টাকা,কোচিং ফি বাবদ ১৫০০ টাকা,বোর্ড ফি বাবদ ২০০০ হাজার টাকা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনী পরীক্ষায় ৮১ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বোর্ড ফি নেওয়ার দাবীতে প্রায় অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী গত ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুলের মূল ফটকে বিক্ষোব্দ হয়ে বিক্ষোভ করে পরীক্ষার্থীরা। ঐ দিন বিকেলে বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীর উপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হামলার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় আহত অন্তত ৩ শিক্ষার্থী। এসময় আহত এক শিক্ষার্থী হামলার কথা শিকার করেন। এসময় স্কুলটিতে লিখাপড়ার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলে অভিভাবকরা।আবার অনেকে ১ বিষয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংগ্রহন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঐ স্কুলে সহকারী শিক্ষক রমজান আলী। কিন্তু পরীক্ষার্থী জানান,অনেক শিক্ষার্থী ১ বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করে ১ বিষয়ে উত্তীর্ণ না হওয়া পরীক্ষার্থীরা।

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় মোবাইলে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়,মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব আলী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ বেশীরভাগ সময় স্কুলে উপস্থিত হয় না এ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তারা জানান এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ঠিকমত উপস্থিত না হওয়ায় নিজের পিতার স্কুল মনে করে হয়তো তিনি কর্মস্থল ফাঁকি দেন।

এসএসসি পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত বোর্ড ফি বাবদ ৫৫০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ পরীক্ষার্থীর, শুধু বোর্ড না নেয়ায় প্রায় শিক্ষার্থী জরিমানাসহ আদায়েরও অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। পরীক্ষার্থীরা জানান যখন ভর্তি হই তখন উন্নয় ফি, সেশন ফি,মাসিক বেতন বাবদ প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে থাকে। এসব টাকা কোন উন্নয়নের কাজে লাগানো হয় আমরা পরীক্ষার্থী এখন কেন উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠান টাকা নিবে এটিও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তারা আরো বলেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাইলে তাদেরকে হুমকির মুখে ফেলতে কার্পন্যবোধ করে না প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রমজান আলী জানান বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়নে পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে উন্নয়ন ফি গ্রহন করা হচ্ছে আর অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। তিনি দাবী করেন পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা আদায় করা হচ্ছে না। পরীক্ষার্থী দাবী ভুল। আবার অনেকে ১ বিষয়ে উত্তীর্ণ না হওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংগ্রহন করতে পারবে না। ১ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দিলে এমন অভিযোগ দেখাতে পারলে প্রশাসনিক শাস্তি মেনে নিবে কর্তৃপক্ষ। এবার ১৬০ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলেও ৮১ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে।

এদিকে পরীক্ষার্থীরা স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষামন্ত্রালয়ের তদারিকার ও দূর্নীতি দমন অনুসন্ধানমূলক প্রতিষ্ঠানের মাঠ উন্নয়নের নামে ও কোচিং ফি’র নামে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার নাম করে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর নিকট এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের অন্যন্য অনিয়মে অভিযোগে সকল তথ্য সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।

অপরদিকে সাভারের হেমায়েতপুরের নগরচর এলাকায় ম্যাট্রিক্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এবার নানা অনিয়মে এসএসসি পরীক্ষার অতিরিক্ত বোর্ড ফি ৭০০০ থেকে ৯০০০ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ম্যাট্রিক্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক ও অধ্যক্ষ’র সাথে কথা বললে তা সত্যতা শিকার করে বলেন, তারা যে অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রেজিষ্ট্রেশন করান সেই স্কুলে ৭০০০ টাকা করে প্রদান করেন। এ স্কুলে ১ বিষয়ে পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ১০০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা গ্রহন করেছেন। এ স্কুল থেকে ৫৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করছে বলে জানা যায়।
এদিকে এ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের সঠিকভাবে তদারিকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে স্থানীয় ও উর্দ্ধত্বন শিক্ষাকর্মকর্তা ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।