মামলায় ফাঁসিয়ে সাংবাদিকের বাসায় লুটপাট!

আগের সংবাদ

বন্ধ কারখানা খোলা সহ বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

পরের সংবাদ

ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি,থানায় অভিযোগ

নেছার উদ্দিন খান

প্রকাশিত :১২:২৫ অপরাহ্ণ, ১৮/০৫/২২

সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর কাঁঠাল তলা এলাকায় শাহিন নামের এক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে একই এলাকার সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দিয়ে এলাকায় ব্যাবসা করলে ব্যাবসায়ীকে হত্যার হুমকি ও দেই তারা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে আশুলিয়া থানায়  একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী মোঃ শাহিন খুলা জেলার তেরখাদা থানার কুশরা গ্রামের খান তারিকুল ইসলামের ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠালতলা চিত্রশাইল এলাকায় থেকে একটি কসমেটিকের দোকান ও গার্মেন্টসের মেশিনারিজের ব্যবসা করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার জামগড়া তেতুলতলার আব্দুল এহাবের ছেলে মোঃ রানা (২৫), পিরু মিয়ার ছেলে মোঃ মনির হোসেন (২৪), চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ মফিদুল ইসলাম মফি (২৬) ও মোঃ হাসান (২৪)।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে সকালে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় শাহিনের দোকানের ভিতর প্রবেশ করে রানা, মনির, চান মিয়াসহ আর ১০/১৫ জন লোক তাকে মারপিট করার চেষ্টা করে। পরে ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে অভিযুক্তরা তাকে শান্তিতে দোকান করতে দিবে না বলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। বর্তমানে তাদের ভয়ে সে দোকান খুলিতে পারছে না।

ভুক্তভোগী শাহিন বলেন, আমি এলাকায় দীর্ঘ ২০ বছর যাবত বাড়া বাসায় বসবাস করে এলাকায় ব্যাবসা করে আসতেছি। এলাকার সবার সাথে আমার চলাফেরা, কেউ বলতে পারবেনা আমি খারাপ। আমার একটি কসমেটিকস এর দোকান সহ গার্মেন্টসের মেশিনারিজের ব্যবসা করে আসতেছি, আমি একটু ভালো চলিতেছি এটা এলাকার কিছু মাদক সেবন কারি  আমার কাছে চাঁদা দাবি করে তারা বলে এলাকায় ব্যাবসা করতে হলে তাদের দাবি পুরন করে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু আমি রাজি না হলে তারা দলবল নিয়ে আমার দোকানে হামলা করে আমি যেন চাঁদা দিয়ে দোকান খুলি। তানা হলে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।

জিডিটির তদন্তের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, গতকাল একটি জিডি করেছে। ভয়-ভিতি, হুমকি-ধামকির জিডি করেছে। সেখানে কোনো চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ্য করেনি। আর চাঁদার কথা উল্লেখ করলে তো অভিযোগই তো। আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জিয়া  বলেন, এখনো বিষয়টি আমি দেখিনি। তদন্ত করে দেখার পর যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।