আশুলিয়ায় জুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামলা

আগের সংবাদ

ধামরাইয়ে ইউএনও`র  হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ, আর্থিক জরিমানা

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত :৭:২৭ অপরাহ্ণ, ০৪/০৩/২২

সাভারের আশুলিয়ার বাসাইদে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দে হাবিবুর রহমান হবির হাত ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

মামলার এজহারে উল্লেখিত ছয় আসামী ছাড়াও রয়েছে অজ্ঞাত নামা আসামী। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন ফাতেমা আক্তার মনি নামের এক গৃহবধূ।

মামলা করার পর থেকেই ওই পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ছাড়া মামলা তুলে না নিলে সবাইকে হত্যার পর লাশ গুম করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া ইউনিয়নের বাসাইদ এলাকার ফেব্রিকা নিট কম্পোজিট কারখানায় ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন সালমা আক্তার নামের এক সাবেক মেম্বার । পরে ওই ঝুট ব্যবসা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য সালমা আক্তারের ওপর ক্ষিপ্ত হন মামলার নথিভুক্ত আসামীরা। ঝুট ব্যবসা ও পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাসাইদ এলাকায় সালমা আক্তারের পরিবারের সদস্য হাবিবুর রহমান, হামিদ শিকদার, শামিম শিকদার, নুর ইসলাম, কাদের শিকদার ও নছু শিকদারকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন এবং তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।

এরপর নাজিম, জসিম, সফর উদ্দিন, আসাদ, মাইনুদ্দিন, রাজু, গাফফার, রমিজ উদ্দিন, কিরণ, শহিদসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ফাতেমা আক্তার মনি। এরপর পুলিশ তদন্ত করে ঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা ওই পরিবারটিকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী ফাতেমা আক্তার মনি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসলাম জানান, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ফাতেমা আক্তার মনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাঁরা আশঙ্কায় রয়েছেন। এর মধ্যে আসামিরা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে এবং নারীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে তাঁদের নামে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করারও আহ্বান জানান আসামিরা।