সাভারের আশুলিয়ায় চিকিৎসার কথা বলে এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অপহরণের শিকার মাকসুদুল হক (২১) কে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার কুরগাঁও নতুনপাড়া এলাকার এক বাসা থেকে তাদের আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানাধীন দিগারহাওলা এলাকার রুবেল মিয়ার ছেলে অন্তর (২০), দিনাজপুরের পাবর্তীনগর থানাধীন মশথপুর এলাকার মৃত কাজল হোসেনের ছেলে ইয়াছিন (১৯) এবং ঝিনাইদাহের কালিগঞ্জ থানাধীন মইশাহাটা এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে শাহিন (১৯)। তারা সকলেই আশুলিয়ার কুরগাঁও নতুনপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। এছাড়া পালিয়ে যাওয় ইকরাম (২৫) নামের একজন।
উদ্ধার মাকসুদুল হক নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন দক্ষিণ সাদার চর এলাকার আব্দুর রবের ছেলে। সে আশুলিয়ার গৌরিপুর এলাকার সিবিটি সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণার্থী।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে মাকসুদুল তার এক বন্ধুকে বাসে উঠিয়ে দিতে নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে যায়। বন্ধুকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে ফিরে আসার সময় সেনাশপিং কমপ্লেক্সের সামনে পৌছলে একটি রিকশা পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে আহত হয় এবং তাকে চিকিৎসার কথা বলে কৌশলে অপহরণ করে কুরগাঁও এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এসময় তার কাছে থাকা ১৫শ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ আরও জানায়, অপহরণকারীরা তার মোবাইলের বিকাশ বা রকেটের পিন নাম্বার না দেওয়ায় তাকে বেধরক মারপিট করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে তার পরিবারের কাছে ফোনে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। পরে মাকসুদুলের বোন বিকাশের মাধ্যমে ৪ হাজার ৫শ টাকা পাঠায়। বিষয়টি তার বন্ধুকে জানালে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিন অপহরণকারীকে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এক অপহরণকারী পালিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ বলেন, জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে বিকাশ লেনদেনের সূত্রধরে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
