আশুলিয়ার তুরাগ নদী থেকে ৩টি ড্রেজার জব্দ

আগের সংবাদ

ধামরাইয়ে সাংবাদিক হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

পরের সংবাদ

করোনায় খাদ্য সংকটে পড়ে ইঁদুর পুড়িয়ে খাচ্ছে মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রকাশিত :৪:৫০ অপরাহ্ণ, ০৪/০৯/২০

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত আফ্রিকার মালাউই চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে। খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ইঁদুর পুড়িয়ে খাচ্ছে দেশটির মানুষ।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, লকডাউনে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া মালাউইর অনেক মানুষ পোড়ানো ইঁদুর বিক্রি করছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে নিজেরাও এটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে।

দুই বড় শহর ব্লান্টায়ার এবং লিলংউইকে যুক্ত করা দেশটির প্রধান সড়কে অনেককে দেখা যায় যাত্রীদের কাছে পোড়ানো ইঁদুর বিক্রি করতে। লম্বা শিকে গেঁথে ক্রেতাদের কাছে এ খাবার নিয়ে যাচ্ছে তারা।

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশটি জুড়ে ফুটপাতের দোকান ও মার্কেটে খাবার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ইঁদুর। মুখরোচক খাবার হিসেবে দোকানেই সেগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।

মূলত করোনার পরিস্থিতিতে এ খাবার দেশটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। খাদ্য সংকটে পড়ে মানুষ ইঁদুরকেও খাবার বানিয়েছে।

স্থলবেষ্টিত ছোট দেশ মালাউইতে পুষ্টিহীনতা ও খাদ্য নিরাপত্তা বড় ধরনের সমস্যা। দেশটির অর্ধেকেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

এর মধ্যে করোনার মহামারি বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে মালাউইর মানুষের জন্য। মহামারি প্রতিরোধে বিধিনিষেধ দেশটিতে খাদ্যঘাটতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইতিমধ্যে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ।

দরিদ্র মানুষদের অনেকে ইঁদুর শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাদেরই একজন বারনার্ড সিমন মধ্য মালাউইর এনটচেইউ জেলার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমনিতে করোনার আগ থেকে (দারিদ্র্যের সঙ্গে) সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এখন এই ভাইরাস এসে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে।’

৩৮ বছর বয়সী সিমন বর্গাচাষের পাশাপাশি এখন ইঁদুর শিকার করে বেড়ান। তার আয়ের উপর নির্ভর করে স্ত্রী ও সন্তানেরা।

সিমনের স্ত্রী ইয়াংখো চালেরা বলেন, ‘কঠিন সময়ে খাবারের জন্য আমরা ইঁদুরের ওপর নির্ভর করি, কারণ মাংস কেনার সামর্থ্য নেই আমাদের।’

এদিকে মালাউই সরকার ঘোষণা দেয়, করোনায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে মাসে ৫০ ডলার করে দেয়া হবে।

জুন মাসে এ অর্থ সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও এখনো সেটি বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার।