আশুলিয়ায় কার্ভাডভ্যান খাদে পড়ে ড্রাইভার নিহত

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় পরিবার নিয়ে বাঁচতে চায় শ্রী রঞ্জন গোস্বামী

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় হলি ক্রিসেন্ট স্কুলে বিদ্যুৎ নিয়ে বিকল্প আবিষ্কার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত :৭:২৩ অপরাহ্ণ, ০৯/১০/২২

বিদ্যুৎ সংকট রোধে ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বয়সের তুলনায় অভাবনীয় পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে আশুলিয়ায় একটি বেসরকারি স্কুলের ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীরা।

রোরবার (০৯ অক্টোবর) সকালে হলি ক্রিসেন্ট স্কুলে দুই দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা ও গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতার সমাপনীর আয়োজনে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ অপচয় রোধে বিভিন্ন ধরনের সেন্সরের যন্ত্রাংস তৈরি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে উইন্ড মিল সহ আধুনিক সোলার প্যানেল আবিষ্কার করেছে তারা। এ ছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবহার নিয়েও তারা নানা ধরনের আধুনিক প্লানিং তৈরি করেছে।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে জন্য এ বিজ্ঞান মেলা ও গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় স্কুল কতৃপক্ষ।

এই গণিত অলিম্পিয়াডে স্কুলটির ৩৭টির গ্রুপ অংশ গ্রহণ করেছে ও বিজ্ঞান মেলায় ২৭ টি গ্রুপ অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি গ্রুপে ৫ জন করে শিক্ষার্থী ছিলো। এই দুই প্রতিযোগিতাকে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় ভাগ করা হয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবিরের উদ্দ্যোগে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হকের সহয়তা এই আয়োজন করা হয়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধার সুষ্ঠু বিকাশ ঘটাতে এই আয়োজন করা হয়েছে। আমরা গতকাল থেকে বিজ্ঞান মেলা, গণিত অলিম্পিয়াড ও শিশুদের জন্য সাধারণ জ্ঞ্যান প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এই আয়োজনটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও উপভোগ করেছে এবং আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই আয়োজনে যারা বিজয়ী হবে তাদের জন্য পুরুষ্কারের ব্যবস্থা করেছি। সেই সাথে বিভিন্ন বিজ্ঞান জাদুঘরের ঘুরিয়ে আনা হবে।

স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্কুলের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বলেন, আমরা কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু মিলে ২০০১ সালে এই স্কুলটি তৈরি করেছি। আমি নিজেই একজন বিজ্ঞানের ছাত্র। আমি জানি যে বিজ্ঞানের মহত্ত্ব বা বিজ্ঞানের দরকারটা কি? সেই থেকেই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিজ্ঞানমুখি করার জন্য আমাদের এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার জন্য উৎসাহী করছি। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন টিম বিশ্ব পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছে। সেখান থেকে উদ্ভুদ্ধ হয়েছি যেনো আমাদের ছেলে মেয়ে তৈরি হয়ে বিশ্বে একটি নাম তৈরি করতে পারে এবং তারা যেনো ভবিষ্যতে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভবিষ্যতে একটি পরিচিত লাভ করতে পারে।