সব
সাভারের আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক হিন্দু পরিবার। প্রায়ই এসে বাড়ি ঘরে হামলা করছেন প্রতিপক্ষ।গ্রাম্য বৈঠক ও থানায় পুলিশের মাদ্ধমে সঠিক কোন সমাধান না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটির কাছৈর বাগেরতল এলাকায় গেলে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীসহ শ্রী রঞ্জন গোস্বামী ও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ভুক্তভোগী হলেন- ওই এলাকার শ্রী রনজিৎ গোস্বামীর ছেলে। তিনি ও তার পরিবার জীবন সংশয় নিয়ে দিনাতিপাত করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার অতুল কৃষ্ণ গোস্বামীর ছেলে লিটন গোস্বামী (৪০), তার ছেলে লিপ্ত পাল (১৯), নিতিষ পাল (৫০), তার ছেলে রমন পাল (২৬), অতুন কৃষ্ণ গোস্বামীর ছেলে অখিল গোস্বামী (৫২), ভোলানাথ চক্রবতি (৫৫), অখিল গোস্বামীর ছেলে অন্তর গোস্বামী (১৮), লিটন গোস্বামীর মেয়ে মল্লিকা গোস্বামী (৩৮) সহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন।
ভুক্তভোগী রঞ্জন গোস্বামী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদীরা আমার প্রায় ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রয়েছে। এই জমি চাইলে আমার পরিবারের সাথে বিরোধিতা শুরু করে তারা।আমার পরিবারের একমাত্র অভিভাবক আমি আর কেউই নেই। এই সুযোগে আমার পরিবারের উপর আরো বেশি হামলা চালায়। আমি বাসায় থাকতে পারি না। বাড়ি আসলেই লাঠি সোঠা নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমার এলাকার মুরুব্বি মেম্বারসহ তাদেরকে বিষয়টি জানালে তারা দু’পক্ষেকে আমিন এনে জমি মাপতে বললে আমরা তাদের উপস্তিতিতে আমিন দিয়ে জমি মেপে আমার দিকে ফয়সালা হলে বিবাদীরা প্রথমে তাদের সামনে মানলেও পরে আবার হামলা শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের বিচারে সমঝোতা না হলে আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করি। তাঁরাও আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলে পুলিশ দু’পক্ষকে থানায় ডাকলে থানায় এটা নিয়ে বসার পড়ে আমার জমি আমাকে বুঝিয়ে দিতে বলে।কিন্তু তারা আমার জমি বুঝিয়ে না দিয়ে আমার উপর আবারও হামলা করে আর বলে পুলিশকে টাকা দিছি তোকে গ্রেফতার করার জন্য। পুলিশ তোকে কিছু না করলেও আমাদের হাত থেকে তোকে ও তোর পরিবারকে কেউ বাঁচাতে পারবো না।
রঞ্জন গোস্বামী বলেন,আপনারা সাংবাদিক আমাদের বাঁচান। আপনাদের মাদ্ধমে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার পরিবার নিয়ে বেচে থাকতে চায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তারা নিজেরা নিজেরা ঝামেলা করেছে। ভুক্তভোগী রঞ্জন গোস্বামীর কেউ নেই। আর বিবাদিদের লোকবল বেশী। নরম পেয়ে রঞ্জনের অপর অত্যাচার করছে তারা।
ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, বিষটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।