আশুলিয়ায় ট্রাক মার্কার পক্ষে শ্রমিকনেতার গণসংযোগ

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে হুমকি, তিন প্রতারক গ্রেপ্তার

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ঈগল মার্কার গণসংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :১১:৪২ অপরাহ্ণ, ২৩/১২/২৩

আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদ। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আশুয়িলার ধামসোনা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তিনি সকলের কাছে ভোট চান। এ সময় তিনি ধামসোনা ইউনিয়নের গাজীরচট উষাপল্টীর মোড় ও সোনিয়া মার্কেট হয়ে আলিয়া মাদ্রাসা ও বুড়িরবাজার হয়ে বগাবাড়ীতে মুনসুর মাদবরের অফিসে আসেন। পরে সেখান থেকে বের হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস হয়ে বাইপাইল দিয়ে কাইচাবাড়ী গিয়ে শেষ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ভালোবেসে তিনবার নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। ২০০৮ সালে দেশের সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছিলেন।

এ সময় তিনি রানা প্লাজা নিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বলেন তো রানা প্লাজা কি আমি ফেলাইছি? রানা প্লাজা আমি বানাইছি? ওইটার মালিক কি আমি? ওখানে কি আমার কোনো ব্যবসা ছিল? ওখানে কি আমার কোনো অংশীদারিত্ব ছিল? ওই মার্কেট টা কি আমার শাসন আমলে বানানো হয়েছে?। তাহলে কেন আমাকে দোষারোপ করা হলো। আমি মানুষ না, আমার কষ্ট লাগে না, আমার অভিমান হইতে পারে না। আর যেখানে আমার নেতা, আমার অভিভাবক, আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছে তাইতো চুপ ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আজকে ২০২৩ এর এই নির্বাচনে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছে, আসো কে জনপ্রিয় প্রমান করো। তাই তো আমি আসছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতদিন চুপ থাকতে বলেছেন। এইবার বলেছেন মুখ খুলো। তাই তো মুখ খুললাম। আপনারদের কাছে আসলাম।

মুরাদ জং বলেন, আমি তো নৌকাই, শুধু মার্কাটা হলো ঈগল। এই মার্কাটা লাইয়া দয়া করে আপনারা যদি আমার নির্বাচনটা করে দেন। আরেকটা বার যদি সুযোগটা দেন। তাহলে প্রথম ফুলের মালাটা তো জননেত্রী শেখ হাসিনার গলায়ই তো পড়াবো।

মুরাদ জং আরও বলেন, আমাকে অনেকে বলছে, আহে নাই। ১০ বছর দেখি নাই। ১০ বছর কই ছিল মুরাদ জং ইতিহাসের পাতায় চলে গেছে। কেন? মুরাদ জং কি রোহিঙ্গা, মুরাদ জংয়ের বাড়ী আশুলিয়া। মুরাদ জংয়ের বাড়ী টংগাবাড়ী। মুরাদ জং আপনাদের ছেলে। আমার ইজ্জত আপনাদের ইজ্জত।

তিনি বলেন, আপনারা বুকে হাত দিয়া কন আমি যখন এমপি ছিলাম তখন কোনদিন কি আপনাদের অসম্মান করছি? কেও কোন কাজে আসলে তার সাথে কি খারাপ ব্যবহার করছি? আমার কাছে আসতে কি কারো লাগে ?আমার পক্ষে যতটুকু করার করেছি। তাই আমি আজকে দাবি নিয়ে বলতেছি আপনারা দয়া কইরা আমার নির্বাচনটা কইরা দেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান, মুনসুর মাদবর, সিরাজুল ইসলাম, আরিফুল ইসলামসহ স্থানায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।