সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত টাকা চাঁদা না পেয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. নুরু মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ শেখ।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ওই জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাংচুর করে ফেলে দেয় চক্রটি।
অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন বড়ওয়ালিয়া এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মো. শাকিল আহম্মেদ (৩৫), শওকত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫০) ও আহাম্মদ আলী (৩২), ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আমির হোসেন (৫০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. এখলাস উদ্দিন (৬০), মো. ইয়াব আলীর ছেলে মো. সবুজ (৩২), মৃত গুরজু মিয়ার ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে মো. নেদু মিয়া (৫২), মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. হানিফ (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবরে আশুলিয়া থানাধীন বড়ওয়ালিয়া মৌজার আর.এস ১৭৭৪ নং দাগের ১০৬ শতাংশ হতে ১৭.৫০ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন। এরপর জমির দখল বুঝে নিয়ে সেখানে কাঁটাতারের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে নিয়ত আছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে উক্ত জমিটি প্লট আকারে ভাগ করার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক জমিতে প্রবেশ করে তার নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে কোন প্রকার নির্মান কাজ করতে দিবে না মর্মে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।
এসময় ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা জমিতে থাকা সাইনবোর্ড ভাংচুর করে এবং চাঁদা না দিয়ে নির্মান কাজ করলে ভুক্তভোগীর হাত-পা ভেঙে ফেলবে মর্মে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে চক্রের সদস্য সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও ছ্যান নিয়ে ভুক্তভোগীকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এসময় ভুক্তভোগী প্রাণভয়ে দৌড়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে জানতে প্রধান অভিযুক্ত শাকিল আহম্মেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ শেখ জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। ইতিমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
