সাভারে শ্বশুড় বাড়িতে নিজের জন্মদিন পালন করতে এসে জামাইয়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও শ্বশুড়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
রোববার রাতে নিহতের বাবা কামাল শেখ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন নিহত লোকমান শেখের স্ত্রী পাপিয়া বেগম ও তার বাবা তাজিম উদ্দিন বিশ্বাসকে।
নিহত ২৫ বছর বয়সী পেশায় টেইলার্স ব্যবসায়ী লোকমান শেখ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টেইলার্স দোকান পরিচালনার পাশাপাশি সেখানেই বসবাস করতেন।
নিহতের বাবা কামাল শেখ বলেন, আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার পাপিয়া বেগমের সাথে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় তার ছেলে লোকমানের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পারিবারিক ভাবেই দেড় মাসে আগে তাদের বিয়ে হয়। তবে স্ত্রী পাপিয়া বাবার বাড়িতেই ছিলো। গত বৃহস্পতিবার আশুলিয়ায় শ্বশুড় বাড়িতে চলে আসে লোকমান। শনিবার ২৭ আগস্ট তার জন্মদিন পালন করতেই শ্বশুড় বাড়িতে সে গিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এরপর আমাদের সাথে হাসিখুশি ভাবে ফোনে কথাও বলেছে ছেলেটা। পরে রোববার ভোরে হঠাৎ জানতে পারি লোকমান তার শ্বশুড় বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে অনেক চাপে পড়েই আত্মহত্যা করেছে। তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার স্ত্রীসহ শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। না হলে হাসিখুশি ছেলেটা হঠৎ কেন আত্মহত্যা করবে। আমি দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। তাদের শাস্তি চাই আমি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে রোববার সকালে কান্দাইল এলাকা থেকে লোকমান নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে,দাম্পত্য কলহের জেরেই ওই যুবক ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। সে জন্মদিন পালন করতে তার শ্বশুড় বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানতে পেরেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় নিহতের বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
