শিক্ষক উৎপল হত্যায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা গ্রেফতার

আগের সংবাদ

যাত্রীবেশে চলন্ত গাড়ীতে ডাকাতি, আটক ৩

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যা:

কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত :১:২৫ অপরাহ্ণ, ২৯/০৬/২২

আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যা:

 

সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে চতুর্থ দিনের মত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তারা আরো বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেন।

বুধবার (২৯) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল হাজী ইউনুছ আলী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এবং সেখানে ৬ দফা দাবি তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে। আগামীকাল সাভার উপজেলার সমস্ত স্কুল কলেজ আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কাল বেলা ১১ টার দিকে সাভার উপজেলা চত্তরে উপজেলার সকল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করা হবে। আজ কর্মসূচি চলবে দুপুর পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বলেন, ঘটনার দিন বিকালেও জিতু এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছে। স্যারের অবস্থার অবনতি হলে পর দিন জিতুর পরিবারসহ পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রমিলা ক্রিকেট ম্যাচের ৪ ওভারের মাথায় শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জিতু। আমরা জিতুর ফাঁসি চাই। এঘটনায় মামলা হলেও জিতুর বয়স দেখানো হয়েছে ১৬ বছর। কিন্তু জিতুর প্রকৃত বয়স মূলত ১৯ বছর। সে কয়েক বছর শিক্ষা বিরতি দিয়ে এই স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। এর আগে সে সাভারের একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। আমাদের দাবি জিতুর জন্ম সনদ খুজে তার বয়স তদন্ত করার জন্য।

প্রসঙ্গ, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্টাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু দাদা নামের এক ছাত্র। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক দিনপর রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এঘটনায় রোববারেই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিকে ধরতে না পারলেও জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।