সব
ঢাকার আশুলিয়ায় ইফতার মাহফিলে দাওয়াত না দেওয়ায় যুবদল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি’র একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া রুপায়ন মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়া থানা বিএনপির সহসভাপতি পিয়ার আলী ও যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলী এবং তার লোকজন। অভিযুক্ত পিয়ার আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম জহির।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন—বিএনপির কর্মী আবু সাঈদ মিয়া, সাজ্জাদ, সবুজ এবং সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বরত ব্যক্তি আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, আমি প্রায় ২ হাজার মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আশুলিয়া থানা বিএনপির সহসভাপতি পিয়ার আলী ও যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলী তাদের দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। স্টেজ ও চেয়ার ভেঙে ফেলে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে, গালিগালাজ করে এবং ইফতারের জন্য প্রস্তুত করা ১২ হাঁড়ি বিরিয়ানি নষ্ট করে দেয়। এমনকি যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি, সেই কারণে তিনি হামলা করতে পারেন বলেনও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু। তার মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল করা হয়েছে, তবে তিনিও কল রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা পিয়ার আলী বলেন, এটা যুবদলের দলীয় কোন্দল আমি ওখানে যাই নাই,একদলকে দাওয়াত দিছে আরেক দলকে দেয় নাই, যে ইফতার পার্টি আয়োজন করছে সে কোন দলের না,এটা যুবদল করছে। যেখানে আয়োজন করেছে তার পাশেই যুবদলের থানা যুগ্ম-সম্পাদক ইদ্রিস আলীর বাসা, তারা ইদ্রিস আলীকেও দাওয়াত দেয় নাই, জাহাঙ্গীর মণ্ডল কেও দেয় নাই,সে কাউকে না জানিয়ে এখানে মাতবরি করে ইফতার পার্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে জড়াইছে কি জন্য তা বলি ওর ভাই নাম ফারুক, উজ্জ্বল,মতি এগুলো হয়েছে এক গ্রুপ,এলাকার চাঁদাবাজি সন্ত্রাস সব করছে। তারা আওয়ামী লীগ করছে তার নামে ১০টা মামলা আশুলিয়া থানায়।এজন্য হে কইছিলো মামা একটু হেল্প করেন আমারই তো ভাই, আমি বলেছি সন্ত্রাস সাপোর্ট দিমু না, এই হলো ঘটনা। এটা কেন্দ্র করে আমাকে পেচাইছে। তারা স্থানীয় না তারা বহিরাগত।
এ বিষয়ে ইদ্রিস আলির মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে ফোন রিসিভ করেন নি।
এ ব্যপারে ঢাকা জেলা উত্তর যুবদলের সভাপতি রকি দেওয়ান বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সত্যিই বিএনপির কর্মী কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আমরা হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতোয়ার রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।