সব
সাভারের আশুলিয়ায় শিমুলিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদল থেকে যুবলীগের সভাপতি পদ পাওয়া আমির হোসেন জয় ওরফে মুরগী আমিরের চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য, হামলা ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২২ মে) শিমুলিয়া ইউনিয়নের রনস্থল বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা।
এসময় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা ঝাড়ু ও ব্যানার হাতে রনস্থল বাজার প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সভায় আমির হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে তার হাত থেকে রক্ষা করার দাবি জানান। মিছিলে স্থানীয়ও আওয়ামী লীগের নেতাসহ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবলীগের পদ পাওয়ার পর থেকেই জয়ের পরিবার এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করার চেষ্টা করে। এলাকায় কোনা বাড়ি করতে হলে চাঁদা দিতে হয়। বিয়ে করতে গেলেও চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া অটোরিকশার চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ও প্রতি মাসে চাঁদা নেয় এই জয় বাহিনী। সম্প্রিতি এই সন্ত্রাসবাহিনী এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়।
সেই এলাকার আব্দুল ওহাব নামের এক ভুক্তভোগী কৃষিক বলেন, আমি জমি চাষ করি। সেই জমিতে মুরগী আমিরদের ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করার জন্য বলে। আমি তাদের ট্রাক্টর না নিলে তারা আমার ছেলে মারধর করে। এছাড়া কোনো বিয়ে বাড়ি হোক আর জমি সংক্রান্ত বিষয় হক সব জায়গা থেকে তারা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারধর করে হত্যার হুমকিও দেয়।
শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের এলাকায় এমন চাঁদাবাজি করে। অনেক দিন থেকে হামলা, মামলা করে আসচ্ছে জয় গ্রুপ। এলাকার মানুষ তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ। আমি চাই সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছ থেকে এলাকাবাসী মুক্তি চায়।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন জয় বলেন, হটাৎ করে কোনো মানববন্ধন করলো বুঝতে পারলাম না। আমি যদি অপরাধ করে থাকি আমার শাস্তি হবে৷ আমার মা পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করলো। সেই মামলায় চারজন আসামি জেলে গেলো। এখন এই আসামিদের পরিবার মানববন্ধন করছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার বলেন, সে যেই হোক না কেনো অপরাধ করলে তার শাস্তি হবেই। তার বিরুদ্ধে স্পেসিফিক কোনো অভিযোগ পেলে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।