আশুলিয়ায় স্বরলা ক্লাবের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

আগের সংবাদ

চৌদ্দগ্রামে অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

পরের সংবাদ

নির্দিষ্ট পরিমান বাড়িভাড়া মওকুফ করলেন ব্যারিস্টার ইমাম হাসান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত :১১:৫০ অপরাহ্ণ, ২২/০৫/২০

২০২০ সাল সারাবিশ্বের মানুষের জন্য করোনা নামক এক বিরল প্রাণঘাতী মহামারী নিয়ে অবতীর্ণ হয়। অপ্রস্তুত মানবজাতি স্বল্প সময়ে দেখাতে শুরু করে তাদের অসহায়ত্ব, একে একে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বিশ্বের সকল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র ও দেশ। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ও আধুনিক কামান কোনো কিছুই যেন বাঁচাতে পারছে না মানুষেকে খালি চোখে দেখা যায় না এতো ক্ষুদ্র এক ভাইরাস থেকে। এই অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সারা দেশব্যাপী সকল পেশাজীবী মানুষ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ব্যারিস্টার ইমাম হাসান ভূইয়া, সুপ্রীম কোর্টের একজন তরুণ আইনজীবী।

করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তিনি প্রথম খাদ্যদ্রব্য বিতরণ শুরু করেন। পরিস্থিতি খারাপ হলে তিনি স্বপরিবারে তার জন্মস্থান আশুলিয়ায় চলে আসেন। তার পর থেকে আশুলিয়া সাভারের বিভিন্ন জায়গায় নিজে রাত ৯ টার পর বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।

এই পর্যন্ত প্রায় ২০০০ মানুষের মধ্যে তিনি নিজ উদ্যোগ, বন্ধু ও আত্মীয়ের সহায়তায় খাদ্যসামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন। আশুলিয়া সাভার যেহেতু শিল্পাঞ্চল এলাকা এই এলাকায় এই মহামারীর সময়ে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বাড়িভাড়ার দায়। কিছু ক্ষেত্রে ৬০% বেতন পাওয়ায় সেই কষ্ট আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে।

এই বিষয়ে ব্যারিস্টার হাসান বলেন, দেখুন আমরা একটা জিনিস প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি যে কাউকে কিছু টাকার খাদ্যদ্রব্য (এইটাকে আমি ত্রাণ বলতে অনিস্চুক ) দিয়ে কাউকে যাতে অপমানিত হতে না হয়। সেই জন্য আমরা প্রায় ৭০-৮০ জনের একটা টিম করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিয়েছি এবং ছবি তোলা হয়েছে দরজার অথবা পায়ের যাতে করে তাদের চেহারা না বুজা যায়।

বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিনি বলেন প্রথম থেকে আমি ভাড়াটিয়াদের তালিকা করে তাদের চাল ডাল দিয়ে চুলা যাতে বন্ধ না হয় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ভাড়ার ক্ষেত্রে খোঁজ খবর নিয়ে আমার ক্ষমতা এবং ভাড়াটিয়ার ক্ষমতা অনুযায়ী ভাড়া নির্দিষ্ট পরিমান মাফ করে দিয়েছি। কারো ক্ষেত্রে পুরো ভাড়া মাফ করে দিয়েছি। একতরফা কোনো নির্দিষ্ট পরিমান মাফ করতে বললে অনেক বাড়িয়ালা বিপদে পরে যাবে। ক্ষমতা অনুযায়ী আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। এই ভাবে সবাই মিলে একসাথে এগিয়ে আসলে আমরা ইন শা আল্লাহ এই বিপদ সামাল দিতে পারবো।

তিনি আরো বলেন এই মুহূর্তে আমাদের বিশেষ করে সাভারের নবীনগরের থেকে আশুলিয়া এবং গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত যেহেতু সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে, সেহেতু এই অঞ্চলের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে একটা করোনা টেস্টিং ল্যাব ও বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী।