সব
সাভারের আশুলিয়ায় ট্রাকসহ গরু ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত ৭টি গরুসহ ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়াসহ জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার বেলটিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার করিম মোল্লার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (২৮) এবং আফজাল শেখের ছেলে কোরবান আলী (২৫), দেওয়ান টাইটা এলাকার কাদের শেখের ছেলে আল আমিন শেখ (৩০) ও তারুটিয়া এলাকার আমজাদ মোল্লার ছেলে মোঃ শহিদুল (৩৬)। এছাড়া, আশুলিয়া থানার কলতাসূতি বারল এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ সজিব (২১) এবং টিটু মিয়ার ছেলে মোঃ শিবলু আহম্মেদ (২০) সহ মোট ছয়জন।
পুলিশ জানায়, ২৭ অক্টোবর গরুর মালিক শহিদুল এনাম রাজশাহী থেকে ২৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ২১টি গরু ট্রাকে চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই পাঠান। ২৮ অক্টোবর রাতে আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকায় ফিনিক্স স্পীনিং মিলসের সামনে নাম্বার বিহীন একটি নীল মিনি ট্রাক থেকে ১৫/১৬ জন ডাকাত গরু ভর্তি ট্রাকের সামনে বেরিকেট দিয়ে চালক, হেলপার ও রাখালকে মারধর করে। ডাকাতরা চালক ও হেলপারকে তাদের ট্রাকে তুলে হাত-পা বাঁধে এবং গামছা দিয়ে চোখ ঢেকে দেয়। পালানো রাখাল ছাড়া ডাকাতেরা গরু ভর্তি ট্রাক ও কাগজপত্র নিয়ে গাজীপুরের দিকে চলে যায়।
এ ঘটনায় গরুর মালিক আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৬ জন ডাকাতকে শনাক্ত করে। ২৯ অক্টোবর আশুলিয়াসহ জামালপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের দলের সর্দারের নাম পলাশ, যিনি বর্তমানে পলাতক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত অবশিষ্ট গরু উদ্ধার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।