কিশোর গ্যাং থেকে বাঁচতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

স্ত্রীকে হত্যা করে স্বজনদের লাশ নিয়ে যেতে বলল স্বামী

পরের সংবাদ

টাকার জন্য খুন হন অধ্যাপক সাইদা খালেক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত :১১:২২ অপরাহ্ণ, ১৪/০১/২২

গাজীপুরের কাশেমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাউজিং প্রকল্পের ভেতর নিজের বাড়ির কাজ দেখতে পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক সাইদা খালেক। বাড়িরটির নির্মান কাজ দেখতে গিয়ে শ্রমিকের হাতে প্রাণ হারান তিনি।

প্রতিদিন সকালে অধ্যাপক সাইদা খালেক তার একটি বিদেশী কুকুর সঙ্গে নিয়ে হাউজিং এর ভেতরে গিয়ে নিজের বাড়ির কাজ দেখাশোনা করতেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের টাকা দিয়ে সন্ধ্যাে দিকে আবার ভাড়া বাসায় আসতেন৷

এভাবেই অধ্যাপক সাইদা খালেকের প্রতিদিনের রুটিন চলছিলো বলে জানিয়েছেন হাউজিংটির নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশেমপুর থানার পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাউজিং প্রকল্প গিয়ে কথা হয় তার সাথে।

তিনি বলেন, ‘বাড়ির কাজ দেখার জন্য পাশেই ভাই ভাই ভিলা নামের এক বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন৷ অধ্যাপক সাইদা খালেক একটি বিদেশী কুকুর নিয়ে প্রতিদিন সকালে এসে বাড়ির নির্মান কাজ দেখতেন। এছাড়া তার সাথে এখানে কেউ থাকতেন না। প্রায় সময় তার নাতী আসতো এছাড়া আর কেউ না।

তিনি বলেন, আমাদের এই হাউজিং এ প্রায় ৫ টি বাড়ি আছে। আমরা ৯ জন সিকিউরিটি এই হাউজিং টির দেখাশোনা করি। একেক সিফটে তিনজন করে ডিউটি করি। সেদিনের কিছু আমি বলতে পারবো না। তবে আজ সকালে পুলিশ আসে তার বাড়ি দেখতে। পরে হাউজিং এর ভেতরে এক রাস্তার পাশে মেডামের লাশ দেখতে পায়। মেডামের গলায় একটা উড়না পেচানো ছিলো। এসময় পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে যায়।

হাউজিংটির ভেতরো গিয়ে দেখা গেছে, নির্মানাধীন বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দুরে একটি নির্জন স্থানে তাকে মেরে ফেলে রাখা হয়। সেই স্থানে পুলিশ চিহ্ন করে রেখেছেন। আর তার নির্মানাধীন বাড়িটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন বাড়িটির বাউন্ডারির কাজ চলছে।

এ বিষয়ে ভাই ভাই ভিলার বাড়ির মালিক মোশারফ হোসেন মৃধা বলেন, তার এক ছেলে তিন মেয়ে দুইজন অষ্ট্রলিয়ায় থাকে এক মেয়ে ঢাকায় থাকে। আট নয় মাস আগে আমার বাসায় তিন রুমের একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়েছিলো তার ছেলের বৌকে সাথে নিয়ে। আমি আজ শুনি তিনি মারা গেছেন। তার সব কিছু এখানেই আছে।

কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রয় আজ গিয়ে গাইবান্ধা থেকে বাড়িটির নির্মান শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলামকে আটক করে। দীপঙ্কর রয় বলেন, গতকাল ১৩ জানুয়ারি কাশেমপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি হয়েছে। জিডি সূত্র ধরে তাকে গাইবান্ধা গিয়ে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাসে সে মরদেহের তথ্য দেয়। সে অনুযায়ী আমাদের অন্য টিম সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে৷ আর আমি এখনো আটক আনোয়ারুলকে নিয়ে ঢাকার দিকে আসতেছি। টাকার জন্য হত্যা করা হয় অধ্যাপককে।

কাশেমপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মাহবুব এ খোদা বলেন, এ ঘটনায় আনোয়ারুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে আনা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো মামলা হয়নি। আসামি আনার পর মামলা রুজু করা হবে।