সব
সাভারের আশুলিয়ায় পরিবহণে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের উপর হামলা ও পরিবহণে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের নিকট হতে চাঁদাবাজির ৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ।
এরআগে, বৃহষ্পতিবার (৩জুন) দুপুর ২ টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলো- আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী কালার টেক এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মামুন (৪০), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার দরিহাতি গ্রামের শামসের মিয়ার ছেলে রাজ্জাক মিয়া (৩৮) ও সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার কান্দাপাড়া গ্রামের নুরুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০)। রাজ্জাক ও আলমগীর যথাক্রমে আশুলিয়ার জিরানী ও পলাশবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়।
পলাতক আসামিরা হলো- আশুলিয়ার বাইপাইল পূর্বপাড়া (মন্ডলপাড়া) এলাকার মৃত মীর আলী মন্ডলের ছেলে বাদশা মন্ডল (৪২), বাইপাইলের স্বপনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদী (৪০), টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার জলছত্র গ্রামের হৃদয় (৩৫), আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার সেলিম (৩৫), জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার সুজন (৩২) ও আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৫)। তারা সবাই বাদশা মন্ডলের অধীনে পরিবহনে চাঁদাবাজি করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে কিছু চাঁদাবাজ বিভিন্ন পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করছে। যার ফলে যান চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এলাকার যানজট নিরসনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদাবাজদের বাধা প্রদান করে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
এ সময় ২০ থেকে ৩০ জন চাঁদাবাজ চারদিকে থেকে পুলিশের ঘিরে ফেলে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ সময় ৩ জনকে আটক করা হয়। সময় তাদের নিকট হতে চাঁদাবাজির ৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই চাঁদাবাজ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাস, ট্রাক ও পিকআপ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে গতরাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।