ডিবি পরিচয়ে চাঁদা দাবি, পুলিশ-সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার ৩

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় নদীতে ডাকাতি করতে এসে ট্রলার নষ্ট, আটক ৩

পরের সংবাদ

শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে যেতে চান সরোয়ার হোসেন

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৬:২৯ অপরাহ্ণ, ০৪/১০/২৩

“শুধু মাত্র বিত্তশালীদের জাতীয় সংসদ নয়, শ্রম-কর্ম-পেশার মানুষের অংশগ্রহনে চাই” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করার লক্ষ্যে শ্রমিকদের সাথে মত বিনিময় সভা করেছেন শ্রমিক নেতা মোঃ সারোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহিংসতা মুক্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সকল দলের প্রতি আহবান জানান।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ মত বিনিময় সভা করেন।

এ সময় শ্রমিক নেতা মোঃ সারোয়ার হোসেন বলেন, আপনারা জানেন ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের এই লালসবুজের বাংলাদেশ। আমাদের যে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতী মানুষ এবং দামাল ছেলে অংশগ্রহন করে আমাদেরকে লাল সবুজের পতেকা উপহার দিয়েছেন। আমরা যদি আমাদের ইতিহাস দেখি, সেদিন এদেশের বৃত্তশালীরা স্বাধীনতার যুদ্ধে সে পরিমাণ অংশগ্রহণ করে নাই। তারা তাদের আত্মরক্ষার্থে দেশ এবং দেশের বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন।

এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদেশের মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের ভুমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের সংবিধান,এদেশের আইন এখনো ব্রিটিশ আইনে মধ্যে রয়ে গেছে। এই দেশ যে দেশ মেহনতী মানুষের গড়া দেশ। সেই দেশে পরিচালনা করছেন বৃত্তশালীরা। এই বৃত্তশালীরা পরিচলনা করাতে আমাদের শ্রমজীবী, মেহনতী মানুষরা অনেকাংশে নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়ে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে শিল্পাঞ্চল গুলো আছে, সেই শিল্পাঞ্চলে যারা সংসদ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করেন। অদ্যাবধি তারা কখনো জাতীয় সংসদে আমাদের মেহনতী মানুষের কথা বলেন না এবং আমাদের মজুরী বৃদ্ধি থেকে শুরু করে শ্রমিকদের যে সমস্যা গুলো থাকে তা বলেন না। না বলারই কথা কারণ যারা হচ্ছে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন সবাই হচ্ছেন ব্যবসায়ী এবং বৃত্তশালী। আমরা মনে করি এদেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃত্বীয় অংশের বেশি হচ্ছে শ্রমজীবী মেহনতী মানুষ। তাই এই মেহনতী, শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে কথা বলার লোক না থাকাতেই আমরা সংসদে আইন পাশ থেকে শুরু করে এদশের জাতীয় পর্যায়ে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হই।

তাই আমরা মনে করি এই শ্রমিক শ্রেণী ঐক্যবদ্ধভাবে যদি থাকি তাহলে আমাদের শ্রমজীবীদের পক্ষে কথা বলার জন্য জাতীয় সংসদে আমাদের প্রতিনিধিই হচ্ছে আবশ্যক। তাই জাতীয় সংসদে শ্রমজীবীদের পক্ষে কথা বলার জন্য আমরা এই আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল থেকে আমাদের সেই আকাঙ্খা শুরু করতে চাই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সহযোদ্ধাদের পরামর্শে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গার্মেন্টস শ্রমিক, শ্রমজীবী ও ভাড়াটিয়া পরিষদ এবং মেহনতী মানুষের পক্ষে আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

এ সময় সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতাসহ স্থানীয় শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।