আশুলিয়ায় রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিল পুলিশ

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার, ইয়াবা উদ্ধার

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ভুয়া ডাক্তারসহ গ্রেফতার ৩

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১০:২২ অপরাহ্ণ, ০৬/০৭/২১

আশুলিয়ায় প্রতারণার অভিযোগে ভুয়া ডাক্তার সহ ডক্টরস জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের এক হাসপাতালের ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৪। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে প্রতারণার শিকার এক নারী ভূক্তভোগী।

সোমবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ.কে.এস লতিফুল বারী।

এর আগে রবিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ডক্টরস জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার গলাচিপা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মনিরুল আলম সোহেল (৪০), নওগা জেলার বদলগাছী থানার গোয়ালভিটা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মুনসুর রহমান (৩৭) ও ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার কাঠালডাঙ্গী বাজার এলাকার মকবুল ইলামের মেয়ে মেরিনা আক্তার মেরি (২২)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই কোমড়ে ব্যাথা নিয়ে আশুলিয়ার ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান এক নারী (২২)। তিনি হাসপাতালের যাওয়ার পরে রিসিপশনে কথা বললে তারা মনিরুল আলম সোহেল কে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার সাথে সমস্যার কথা খুলে বলতে বলেন। পরে ওই নারী সোহেলের কাছে সকল বিষয় খুলে বলে। পরে ডাক্তার পরিচয়দানকারী সোহেল তাকে ডক্টরস জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লেখা একটি প্যাডে কিছু ওষুধ লিখে সীল ছাড়াই স্বাক্ষর করে দেন। সীল ব্যতীত প্রেসক্রিপশন দেখে ওই নারীর সন্দেহ হলে তিনি হাসপাতালের বাহিরে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে র‌্যাবের টহলটিম দেখে তাদেরকে বিষয়টি জানান ওই নারী। পরে র‌্যাবের টহল টিম ওই নারীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই ডাক্তারের কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু তারনা কাগজ পত্র দেখাতে ব্যার্থ হয়। পরে র‌্যাব তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে ভুয়া কাগজ পত্র উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ.কে.এস লতিফুল বারী বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা, শুনেছি গতরাতে আমার হাসপাতালের তিনজনকে র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে। কেন নিয়েছে? তাও জানি না। আমি এ ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র পাইনি।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৪ (সিপিসি-২) শাখার কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।