সাভারে রোহানের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি

আগের সংবাদ

সাভারের সালেপুরে নতুন সেতুর উদ্বোধন

পরের সংবাদ

বিষাক্ত কেমিক্যালের দূষিত পানি থেকে বাঁচতে এলাকাবাসী

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৩:২৭ অপরাহ্ণ, ০৯/০২/২১
সাভারের আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার কেমিক্যাল যুক্ত বিষাক্ত ও দূষিত পানি থেকে বাঁচতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অন্বেষাগলিতে এ মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় ওই এলাকার পানি বন্দি প্রায় ২ শতাধিক ভুক্তভোগী এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, আজ প্রায় ৩ মাস যাবৎ নিশ্চিন্তপুরের অন্বেষাগলির এলাকায় কারখানার দূষিত পানিতে রাস্তা ঘাট, ঘর-বাড়ি  ডুবে যায়। কিন্তু স্থানীয় মেম্বার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক এই দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি সড়ক দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু প্রভাবশালী এক ব্যক্তি সেই ড্রেনেজের কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
ভুক্তভোগী ইয়াসিন মোল্লাকে বলেন, আমাদের এই এলাকায় প্রায় ১ হাজার মানুষের বসবাস। দূষিত পানির জন্য আমরা
যে কষ্ট পোহাচ্ছি তা ভাতের কষ্টের চেয়ে আনেক বেশি। আজ তিনটা মাস ধরে এই অবস্থা। পানিতে রাস্তা ডুবে গেছে। অনেকের ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। শুধু পানি হলে তো কথা ছিলোনা কিন্তু পানির সাথে কারখানার কেমিক্যাল যুক্ত দুষিত বর্জও আসে। যা আনেক দুর্গন্ধ ছড়ায়। আমরা ঘরে বসে ভাত খেতে পারি না। এই পানির করণে নানা রোগ ব্যাধি হচ্ছে আমাদের।
আরেক ভুক্তোভগী বাড়িওয়ালা বিউটি বেগম বলেন, আমাদের এলাকা তিন মাস আগেও ভালো ছিলো। কিন্তু অনন্ত ও আরেকটি পোশাক কারখানা তাদের পানি আমাদের এলাকা মুখি ছেড়ে দেয়। ফলে আমাদের এলাকা এখন দুষিত পানিতে ভর্তি হয়ে গেছে। এই পানি থেকে বাচতে আমাদের সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেক মন্ডল একটা ড্রেন করেতে শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তি এই কাজে বাধা প্রদান করে। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইয়ারপুর ইউনিয়ের ৬ নং ওয়ার্ডের অন্বেষাগলি এলকায় বসবাসরত প্রায় ১ হাজার মানুষ দূষিত পানি বন্দি হয়ে আছে। সে কারণে আব্দুল মালেক মন্ডল মালু নিজ উদ্যোগে ৩০০ ফুটি দৈর্ঘ একটি ড্রেন নির্মান করে। এছাড়া ৪ টি সেচ মেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করে। কিন্তু একটি মহল এই ড্রেন নির্মানে বাধা প্রদান করে।