সাভারে উত্তরণ পল্লীতে ঘর নির্মান কাজের উদ্বোধন

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১

পরের সংবাদ

থাকার কথা খেলার মাঠ, দেখা মিলল মৃত্যু ফাঁদ !

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৬:১০ অপরাহ্ণ, ০৮/১০/১৯

এইচ এম সৌরভ, কালিয়াকৈর:

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় “টেকিবাড়ি চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়“ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে । ১৯৭৬ সালে বিদ্যালয়ের জায়গা সংকীর্ণ থাকায় পূর্বের স্থান থেকে সরিয়ে আনা হয় বর্তমান স্থানে। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি সমাধান আসেনি স্কুলটির।

যে জায়গায় থাকার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, সেখানেই দেখা মিলল মৃত্যু ফাঁদ! স্কুল ভবনের বারান্দা ঘেঁষেই রয়েছে নর্দমা আকৃতির বিশাল পুকুর। আর এই পুকুর ঘিরেই রয়েছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর আশঙ্কা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিবাবকদেরও থাকতে হয় আতঙ্কে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালযের বারান্দায় যেন শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। মধাহ্ন বিরতির সময় খেলাধুলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা। স্কুলের কোন নিজস্ব মাঠ না থাকায় পুকুরের পাড় ঘেষা এই বারান্দাতেই গাদাগাদি করে খেলাধুলা করতে হয় তাদের।

দেখা যায় বারান্দার এপাশ থেকে ওপাশ দৌড়াদৌড়ি ও লাফালাফি করে খেলায় মগ্ন থাকেন তারা। যে কোন সময় অসতর্কতা বঃশত পুকুরে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে মৃত্যু নামক দূর্ঘটনা। এমনকি বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোন রাস্তা না থাকায় পুকুরের পাড় ব্যবহার করে চলাচল করে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে পড়–য়া অনেক শিক্ষার্থীই সঁাতার জানে না। সাতার না জানা এসব শিক্ষার্থী যেন প্রতিনিয়তই মৃত্যুর সাথে খেলা করছে। স্থানীয়রা জানায়, পুকুরের জায়গাটি মসজিদের ওয়াকফ করা সম্পত্তি।

এব্যপারে এলাকার নেতৃত্ব স্থানীয়দের কারো কোন উদ্যোগ না থাকার কারনে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। অনেকের দাবী ভিলেজ-পলিটিক্সের কারনে এই মাঠ ভরাট করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা আরও বলেন পুকুরটি ভরাট করা হলে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠসহ ঈদের ও জানাযার নামাজ এখানেই পড়া সম্ভব।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। জায়গাটা পাশের মসজিদের, সেজন্য আমরা ভরাট করতে পারি না। এলাকার নেতৃত্ব স্থানীয়দের বলেছি তাতেও কোন লাভ হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম বলেন, আমি এরকম ঘটনা জানিনা, আমাকে কেউ জানায়নি। আমি খুব শীঘ্রই দেখতে যাব। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।