সব
এক্সপ্রে প্রতিবেদক:
সাভারের হেমায়েতপুরে দুই ভাইসহ তিন তরুনের হত্যার ঘটনায় মা নাসরিন বেগম ও তার কথিত প্রেমিক কেরু ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে আমিনবাজার থেকে কেরু ডাকাত ও সহোদরের মা নাসরিন বেগমকে নিলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসরিন বেগম ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধিতে তরুণদের হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এস আই জাকারীয়া হোসেন জানায়, গত ১৪ মে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে সাভার হেমায়েতপুরের প্রান্ত ডেইরী ফার্ম নামে একটি গরুর খামারে শ্রমিকদের থাকার ঘর থেকে দুই ভাই ও ফুফাতো ভাইসহ তিন তরুনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তারা তিনজন প্রতিদিনের মত রাতে খাবার খেয়ে ঐ কক্ষে ঘুমাতে যায়। সকালে অনেক ডাকাডাকি করে কোন শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করে। এছাড়া তাদের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ ছিল না।
তবে ঘটনার পর থেকে মায়ের আচরন সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাবাদ চলতে থাকে। হঠাৎ করে নাসরিন বেগম তার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আটক করতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পরে নিলফামারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, নাসরিন বেগমের সঙ্গে সাভারের আমিনবাজারের কেরু ডাকাত নামে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই বিষয়টি নাসরিন ছেলেরা দেখতে পায় ও জানতে পারে। ফলে কেরু ও নাসরিন বেগম তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো রাতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেয়ায়।খাবারের ফলে বিষ ক্রিয়ায় দুই সহোদর ও তার ফুফাতো ভাই মারা যায়। অন্যদিকে নাসরিনের স্বামী জিয়াউর রহমান কোন কারনে রাতে খাবার না খেলে বেঁচে যায়।
উল্লেখ্য যে, নিহত দুই ভাইয়ের নাম নাছির ও জীবন। তারা হেমায়েতপুরে একটি গ্যারেজে কাজ করত। দুই ভাই কিশোরগঞ্জ জেলার গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। বাবা জিয়াউর রহমান হেমায়েতপুরে প্রান্ত ডেইরী ফার্মের কর্মচারী ও পাশের একটি কক্ষে দুই ছেলে ও বোনের ছেলেসহ বসবাস করত।অপর নিহত ফুফাতো ভাই শাহাদাতের বাড়ির এই গ্রামে বরে জানা যায়। সে হোময়েতপুরে একটি খাবার হোটেলে কাজ করত বলে জানা যায়।