আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ-আলম, সম্পাদক বাবুল

আগের সংবাদ

ধামরাইয়ে অটোরিকশার উপর গাছ পড়ে নিহত ৫, আহত ৩

পরের সংবাদ

গোলাপ গ্রামে আশুলিয়ার গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলা

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১০:০৪ অপরাহ্ণ, ০৮/০৩/২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া:

সাভারের বিরুলিয়ার সাদুল্লাপুরে গোলাপ গ্রামে বসেছিল আশুলিয়ার গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলা। সমাজ পরিবর্তনের ব্রত নিয়ে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার গ্র্যাজুয়েটরা মিলিত হয়ে গঠন করেছেন আশুলিয়া গ্র্যাজুয়েট এসোসিয়েশন। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে উন্নত সমাজ গঠন ও মানবসেবার ব্রত নিয়ে গঠিত হয়েছে সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক এই সংগঠন।

গত শুক্রবার (৬ মার্চ) ছিল সংগঠনটির প্রথম ‘মিলনমেলা ও পিকনিক ২০২০’।

গোলাপ গ্রামে উপস্থিত হয়ে সকাল থেকেই গ্র্যাজুয়েটরা হাসি-গান আর আনন্দের বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠেন। সেই সাথে চলে দলবেঁধে ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। গ্রুপে কিংবা একক কোনভাবেই ছবি তোলা বাদ যায়নি। সেই সাথে গোলাপ চাষীদের সাথে একান্তে চলে আলাপচারিতা। অনেকেই আবার সৌখিন গোলাপ চাষের কলাকৌশলও চাষীদের কাছ থেকে জেনে নেয়ার চেষ্টা করেন।

বিনোদনের ফাঁকে ফাঁকে চলতে বাহারী খাবার দাবারের আয়োজন। আচার থেকে শুরু করে বোরহানি। আবার আইসক্রিম থেকে শুরু করে ফিরনি। কোনকিছুই বাদ পড়েনি খাবারের ম্যানু থেকে। সকালের নাস্তা, দুপুরের ভুড়িভোঁজ আর বিকেলের ফলচক্রের আয়োজন গ্র্যাজুয়েটদের ক্যালরির ক্ষয় পুরন করে বাড়ি শক্তি সঞ্চয়ের সহায়ক ভূমিকাও পালন করে। রোদ্রের প্রখরতা যেমনটি ছিল না তেমনি ছিল না বৃষ্টিরও কোনো উৎপাত। ফলে সারাদিনই চলতে থাকে গ্র্যাজুয়েটদের বাধভাঙ্গা আনন্দের উচ্ছ্বাস। বিভিন্ন খেলা আর প্রতিযোগিতার বাইরেও সকল সদস্যের জন্য ছিল কমন গিফট। সংগঠনের লোগো সংবলিত আকর্ষনীয় মগ আর টি শার্ট ছিল সবার জন্যই। এর বাইরেও ছিল সবার জন্যই গোলাপের আয়োজন। তবে মোড়গের লড়াই খেলায় বিজয়ীদের জন্য ছিল নজরকাড়া পুরস্কার। পুরুষদের সতীনের ছেলে (পিলো পাসিং) খেলায় যোগ হয়েছিল বাড়তি আনন্দ। এই খেলায় বিকর্ত এড়াতে দুইজনকে সম্মিলিতভাবে প্রথম স্থানের বিজয়ীর পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সিনিয়র সদস্যরা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

তারা ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্ব তলে ধরে বলেন, সংগঠন গঠন করার চেয়ে একে ধরে রাখা এবং সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নেয়াটাই কঠিন। সংগঠন করতে গিয়ে কোনো ধরনের স্বার্থবাদীতা বা রাজনৈতিক ইচ্ছার বহি:প্রকাশ করা কোনো মতেই উচিত হবে না। এছাড়া অন্যকে ছোট না করে নিজের কাজ এবং চিন্তা দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নেয়ার মধ্যেই গ্র্যাজুয়েটদের স্বার্থকতা নিহিত থাকবে। তারা বলেন, আমরা সবাই আশুলিয়ারই সন্তান। আশুলিয়ার উন্নয়ন ও দুস্থ মানবের সেবা করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। যেকোনো মূল্যে আমাদের এই ঐক্য টিকিয়ে রাখতে হবে। সুন্দর চিন্তা আর পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সম্মানবোধ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলভার গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজু দেওয়ান বলেন, আশুলিয়া গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন একটি সামাজিক সংগঠন আশুলিয়ার প্রতিটি মানুষের উপকৃত হবে বলে আমি আশা রাখি। এছাড়া আমিও এই সংগঠনের একজন গর্বিত সদস্য। তাই আমি এর পাশে যেকোন ভাবে থাকতে চাই এবং যে কোন সহযোগিতা জন্য আমার দরজা সব সময়ের জন্য খোলা ।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো: মনসুর হোসেন মানিক, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার ইমাম হাসান, সংগঠনের এডমিন এস এম আমিরুল ইসলাম অাসিফ ও আল -মামুন, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের আশুলিয়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার শাহরিয়ার বাহাড়ি, নয়া দিগন্ত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ মতিউর রহমান, যমুনা টিভির ঢাকা জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান নিপু, আয়োজন কমিটির আহবায়ক এডভোকেট শফিক দেওয়ান, ইকবাল অাবির, রাজু দেওয়ান, হাসেম সরকার,মাহাফুজ রহমান,রবিন প্রামানিক, মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, সেলিম হোসেন,রশিদ পলান প্রমূখ।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন ছিল র‌্যাফেল ড্র। র‌্যাফেল ড্রয়ের বিভিন্ন আকর্ষনীয় পুরস্কারের মধ্যে সবচেয়ে লোভনীয় পুরস্কার ছিল লাকি কুপনের প্রথম পুরস্কার ঢাকা-কক্সবাজার কাপল বিমান টিকেট। গ্র্যাজুয়েট সম্রাট সরকার লটারীর প্রথম পুরস্কারটি হাতে পেয়ে অনুষ্ঠান শেষের বাশিতে ফুঁ দেন।