ঈদে পদ্মা সেতুতে চলবে মোটরসাইকেল

আগের সংবাদ

মানিকগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

পরের সংবাদ

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মাদারীপুরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :৩:৫০ অপরাহ্ণ, ১৮/০৪/২৩

মাদারীপুরে লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ জেলাবাসী। গত একসপ্তাহ ধরে দিনরাত মিলিয়ে ১০-১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বেড়েছে চরম ভোগান্তি।

জানা যায়, মাদারীপুর সদর, শিবচর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা থেকে গ্রাম সবখানেই হরহামাশা যাওয়া আসা করছে বিদ্যুৎ। সবচেয়ে দুর্ভোগ আর কষ্ট বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন রোগীরা। অনেকেই হাসাপাতালের বেড ছেড়েই বাহিরে বের হয়ে গেছেন। এদিকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকায় কারখানা, ছাপাখানায় উৎপাদন নেমে গেছে অর্ধেকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে।

অবশ্য বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ৩৩ হাজার গ্রাহকের ১৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১২ মেগাওয়াট। অপরদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩ লাখ ৬৫ হাজার গ্রাহকের ৭৫ মেগাওয়াটের বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ মেগাওয়াট।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী রুবেল মাতুব্বর বলেন, আমার বাচ্চাকে ভর্তি করছি চারদিন। এই চারদিনে একঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। হাসপাতালের বিছানায় থাকা কষ্ট, তাই হাতপাখা নিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাতাস করছি। খুবই কষ্ট হচ্ছে।

মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের ব্যবসায়ী আসাদ রহমান বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। একটি কাজ অর্ধেক থাকার মাঝেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে, এতে আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে। কি কারণে হঠাৎ এমন বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গেছে কোনো ঘোষণা বা বার্তা দিচ্ছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, সারাদেশেই লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মূলত অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, তাই লোডশেডিং হচ্ছে।