সব
হাসান ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মাওলানা ভাসানী হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক (দিপু), সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার দুপুর দুইটায় শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত বটতলা মোড়ে এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের কর্মীরা পিস্তল, রামদা, রড, হকিস্টিক ব্যবহার করে। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে অন্তত ১২ রাইন্ড গুলিও বিনিময় হয়।
এই তুমুল সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে একজন বৃদ্ধা মা নিচু বটের রাস্তা ধরে বাড়ী ফিরছিলেন। কিন্তু নিচু বটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এবং উচু বটে মাওলানা ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের অবস্থান করে। এমন সংঘর্ষের মাঝে বৃদ্ধা মা ভয়ে মাঝ রাস্তা হতে কোন দিকে যেতে পারছিলেননা। অসহায় বৃদ্ধা মা সাহায্যের আশায় অনেকের কাছে অনুরোধ করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
বৃদ্ধা মায়ের এই দৃশ্যটি ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এ এফ এম সায়েদের নজরে আসে। যখন অন্যান্য কর্তব্যরত অফিসার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যস্ত তখনই তিনি এগিয়ে যান বৃদ্ধ মাকে সাহায্য করতে। তিনি বৃদ্ধ মায়ের হাত ধরে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে তার গন্তব্যে পৌছে দেন। কে বা কারা এই অসাধারণ মুহুর্তের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করেন। এতে করে মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসুবকে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সাভার মডেল থানায় খুলনা জেলার সন্তান এ এফ এম সায়েদ (৩৭) যেদিন থেকে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন সেদিন থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার এই সততা ও মানবিকতার দৃষ্টান্তস্থাপনের জন্য দিনদিন তিনি সাভারবাসীর কাছে প্রিয় পুলিশ অফিসার হয়ে উঠছেন।