আশুলিয়ায় দোয়েল-সিয়াম পরিবহনের উদ্ধোধন

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় এনসিসি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় অপহৃত দুই কর্মচারীকে সিলেট থেকে উদ্ধার

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১১:২১ অপরাহ্ণ, ২৪/০৭/১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া এক্সপ্রেস:

আশুলিয়া হতে অপহৃত ইন্টার কলি-২ নামক এলুমিনিয়াম থাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে সিলেট কুলাউড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত ১০ নারী ও পুরুষ অপহরণকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় আটকৃতদের কাছে তল্লাশী চালিয়ে বিকাশ নম্বরে মুক্তিপণের নেয়া ২ লাখ টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে ছাড়া পেয়ে অপহৃত জাকির হোসেন(৩৬) ও সোলেমান খন্দকার(৩৩) আশুলিয়ায় পৌঁছেছে।

অপহৃত দুই কর্মচারীর মধ্যে জাকির হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার হরগজ এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে এবং সোলেমান যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন শেখপাড়া রহিতা এলাকার সালাম খন্দকারের ছেলে।

এ ব্যাপারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, ওইদিন দিবাগত রাত ৩টায় কর্মচারী জাকিরের মোবাইল হতে একজন অপরিচিত লোক ফোন করে জানায় সোলায়মান ও জাকির কে অপহরণ করা হয়েছে। তাদের দু’জনকে মুক্ত করতে হলে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। কিন্তু অনেক রাত হওয়ায় বিকাশের দোকান খোলা নেই, বললে তারা জানায়, দিনের বেলায় পাঠালেই হবে। বিষয়টি পরেরদিন সকালে আশুলিয়া থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করি। তবে এ বিষয়ে থানা পুলিশ কোন সহযোগিতা করেননি। কোন উপায় না পেয়ে অপহরণকারিদের কর্মচারীদের প্রাণ রক্ষার্থে ২ লাখ টাকা চাঁদা অপহরণকারিদের দেয়া ১৮টি বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে পরিশোধ করি।

অপহৃত দুই কর্মচারী জানায়, মালিক পর্যায়ক্রমে টাকা দিলে ২১ জুলাই বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তারা আমাকে হাত, পা ও চোখের বাঁধন খুলে দিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় লংলা খাস আবাসন টাটুয়া আসামী লিটন আহমদ রাব্বির বাড়ি হতে সিএনজিতে উঠিয়ে কুলাউড়া শ্যামলী পরিবহণ স্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে তারা চলে যায়। আমরা লোকদের মাধ্যমে জেনে কুলাউড়া থানায় গিয়ে বিস্তারিত পুলিশ সদস্যদের জানাই। কুলাউড়া পুলিশ আমাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। সেখানে উল্লেখিত ১০ জনকে আটক করে পুলিশ।

উল্লেখ্য যে, গত ২০ জুলাই বেলা ১১টায় আশুলিয়ার বগাবাড়ি বাজার ইন্টার কলি নামক একটি থাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিল্ডিংয়ের থাই গ্লাস লাগানো কাজ করতে মালিকের অনুমতি নিয়ে সোলেমান ও জাকির সিলেটের কুলাউড়া নিয়েছিল মামুন নামে এক ব্যক্তি ও অজ্ঞাতদ্বয়।