সব
সাভারের আশুলিয়ায় বাক-বিতন্ডার জেরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সৈনিক ইসলাম শাহিন (২৬) কে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা আশিকের বিরুদ্ধে। আহত শাহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হল কর্তব্যরত চিকিৎসা তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের গোরাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সৈনিক ইসলাম শাহীন (২৬) নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার নাউতারা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমান মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আশিক ইয়ারপুর ইউনিয়নের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা আশিক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শাহীনের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এসময় শাহীনকে লক্ষ করে গুলি করে আশিক। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহীনকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন।
আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হাবিবুর রহমান বলেন, আজ বিকেলে গুলিবিদ্ধ এক যুবককে আমাদের হাসাপাতালে আনা হয়। তার পায়ে গুলি লেগেছে। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার বলেন, আমি আমার কর্মস্থলে ছিলাম। সেখান থেকে খবর পেয়েছি শাহিনকে গুলি করেছে আশিক। যতদূর শুনেছি শাহীন একটি ছোট দোকান পরিচালনা করে আসছিল। দোকানে বিক্রির জন্য সিগারেট আনতে যাওয়ার সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আশিক ও তার সহযোগীরা। চাঁদা না দেওয়ায় শাহীনকে গুলি করে আশিক।
ঝুট ব্যবসা দখল সংক্রান্ত ঘটনার জেরে গুলি করা হয়েছে এমন ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝুট সংক্রান্ত কোন ঘটনা নয়। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় শাহীনকে গুলি করে আশিক।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তার নিকট থেকে বিষয়টি জেনে আসামী ধরতে চেষ্টা করছি। বাকি আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।