সব
সাভারের আশুলিয়ায় সরকারি কাজে বাঁধাসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২০ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞত নামা আরও অন্তত ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গ্রেপ্তার দুইজনকে অন্যান্য আসামীদের সাথে প্রিজন ভ্যানের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার পিয়ার আলী দেওয়ানের ছেলে মোঃ আবুল দেওয়ান (৫৪) ও মোঃ টিপু দেওয়ান (৪০) । তারা উক্ত মামলার ১নং ও ২নং এজাহার নামীয় আসামী।
মামলার বাকী আসামীরা হলো- আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার কালুর ছেলে মোঃ চুন্নু (৩০), মোঃ আব্দুল জলিলের ছেলে মোঃ রবি (২৮), মোঃ রাসেল মিয়ার ছেলে মোঃ শাওন (২৪), মোঃ শহিদ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩১), বাবর আলীর ছেলে মোঃ নাসির (৩৫), ইমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুহুল (২৮), শামছুর ছেলে মোঃ শিপন ওরফে বাঘা (৩৫), মৃত মোজাদিবীর ছেলে মোঃ রাজু (২৫), শহিদুলের ছেলে মোঃ তারেক (২৪), আব্দুল জলিলের ছেলে তাওহিদ (২২), আব্দুল জলিলের ছেলে তুহিন (২৪) সহ একই এলাকার ওবায়দুর হাওলাদার (২৭), পায়েল (২৪), মোঃ বানিরুল (২৬) , মোঃ ফারুক (২৫), মোঃ আরিফ (২৬), শরীফ (২২) ও মোঃ বাপ্পী (২৬)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে আশুলিয়া থানার এএসআই মোহাম্মদ ফয়েজ হোসাইন আশুলিয়া থানাধীন নয়ারহাট টু ঘোড়ার পীরের মাজার এলাকায় ডিউটিরত অবস্থায় সংবাদ পায় যে, কতিপয় লোক দুষ্কৃতিমূলক কাজ করার জন্য আশুলিয়ার নিরিবিলি হাবিবের গোডাউনের সামনে অবস্থান করছ। পরে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংগীয় ফোর্স সহ অটোরিক্সাযোগে উক্ত স্থানে গেলে অভিযুক্তরা সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে অটোরিক্সাটি ভাংচুর করে এবং পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় এএসআই মোহাম্মদ ফয়েজ হোসাইনের বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায় এবং তার সংগীয় ফোর্স সঞ্জয় তালুকদারের বাম গালে ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এছাড়াও তাদের সঙ্গে থাকা অন্যানাদের মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে দুষ্কৃতিকারীরা দৌরে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোঃ আবুল দেওয়ান (৫৪) ও মোঃ টিপু দেওয়ান (৪০) নামের দুই ভাইকে আটক করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার দে বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।