শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৮

আগের সংবাদ

শিল্পাঞ্চলে ফের অস্থিরতা, ৯০ কারখানা বন্ধ

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

ইস্কান্দার হোসাইন রুদ্র

প্রকাশিত :১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ০৮/০৯/২৪

আশুলিয়ায় বিএনপির শ্রমিক সমাবেশে স্থানীয় নেতার নামে স্লোগান দেওয়া কে কেন্দ্র করে শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় মাজহারুল ইসলাম খান নামের এক বিএনপি নেতাকে ট্রাকের স্টেজ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সামনেই দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ এ সংঘর্ষ চলার পর বিএন‌পির সি‌নিয়র নেতারা প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল উত্তরবঙ্গগামী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দেশের শিল্পকারখানা ভাঙচুর ও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টিকারীসহ স্বরযন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে একটি শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন বাবু।

এ ঘটনায় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা মাজহারুল ইসলাম খানসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে মাজহারুল ইসলাম খান ছাড়া বাকি আহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আশুলিয়া থানা ইউনিটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতেই ট্রাকের অস্থায়ী স্টেজে উঠা ও স্থানীয় নেতার নামে স্লোগান দেওয়া কে কেন্দ্র করে প্রথমে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা মাজহারুল ইসলাম খানকে স্টেজ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে এক গ্রুপ এসে তাকে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়, ভাঙচুর করা হয় চেয়ার। 

এব্যাপারে ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা আহত মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, আজ শ্রমিক দলের আয়োজনে একটি শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আমি ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের রানিং সাধারণ সম্পাদক। আমাকে স্টেজ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। গফুর চেয়ারম্যান ও মোখলেস খাঁনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আমিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। 

এব্যাপারে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল গফুরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। শ্রমিক সমাবেশে সংঘর্ষের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।