সব
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এর ফলে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে। তুলনামূলকভাবে মহাসড়কে বেড়েছে ট্রাক-পিকআপের সংখ্যা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে চড়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হঠাৎ করেই ব্যাপকভাবে ট্রাক-পিকআপের চাপ দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রাক-পিকআপেই গরম উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শত শত কিলোমিটার রাস্তা পারি দিচ্ছে হাজারো মানুষ। প্রিয়জনদের কাছে যাওয়ার আনন্দ যেন হার মানিয়েছে এই কষ্টকে।
আঞ্জুমান আরা নামে এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, সাভার থেকে বগুড়ায় যাচ্ছি ঈদ করতে। সাভার থেকে বগুড়ার বাস ভাড়া চায় ৮০০-১০০০ টাকা। সেখানে আমরা ট্রাকে যাচ্ছি ৪০০-৫০০ টাকায়। এ ছাড়াও বাস পেতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে সবার। তবে এর তুলনায় অনেকটা সহজেই মিলছে ট্রাক-পিকআপ।
এছাড়াও এবার উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বস্তিতেই পার হচ্ছেন সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও এখনো কোনো ধীরগতি বা যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকালের তুলনায় বিকেলে অনেকটাই বেড়েছে যানবাহনের চাপ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকা থেকে সার্জেন্ট তাহাজ্জৎ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। এছাড়াও কোনো যানবাহন যেন এলোমেলোভাবে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিকেল থেকে ট্রাক-পিকআপে প্রচুর মানুষকে দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর গার্মেন্টসকর্মীরা বেশি ট্রাক-পিকআপে বাড়ি ফিরছেন।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ আরও বেড়েছে। তবে হাইওয়ে থানার আওতাধীন কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। এ ছাড়াও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৎপর রয়েছি।
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, সময়ের ব্যবধানে মহাসড়কে যানবাহন বাড়ছে। তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ হবে। এছাড়াও যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।