অব্যাহতি প্রত্যাহার করলেন সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

আগের সংবাদ

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী কারাগারে

পরের সংবাদ

প্রেসক্লাবে সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত :৯:১৯ অপরাহ্ণ, ১১/০৯/২২

আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ মুন্সির ডাকা সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হেনস্তা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিক মানু।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লিটন সংবাদ সম্মেলন শেষে সংবাদ কর্মীরা যখন দুপুরর খাবার খেতে ব্যস্ত ছিল, তখন হুট করে কয়েকজন লোক নিয়ে ক্লাবে ঢুকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলে এখানে যারা আছেন সাংবাদিক সহ অন্যান্য যারা আছেন কেউ বাহিরে যাবেন না। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আর বলেন ঐ সাকিল দরজা বন্ধ করে দে কেউ যেন বের হতে না পারে। এখানে নুরে আলম ছিদ্দিক মানু কে? তুই স্টেজে আয়।এ সময় উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা কি হয়েছে জানতে চাইলে তড়িগড়ি করে দৈনিক মুক্ত খবর ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিক মানুকে টেনেহিঁচড়ে কেবিনেট কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় ঔষুধ ব্যবসায়ী ও প্রেস ক্লাব নেতা লিটন ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি বাকবিতন্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে মামুন মোল্লা নামের একজন মানুকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে করে উপস্থিত সংবাদ কর্মীরা হতভম্ব হয়ে যায়, সংবাদ কর্মীদের বের করে দিয়ে মানুকে বিকেল পর্যন্ত আটকে রাখে।

এব্যাপারে নুর আলম সিদ্দিক মানু বলেন, বেশ কিছু দিন আগে নরসিংহপুর এলাকায় একটি বিরিয়ানি হাউজে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম লিটন ও মেহেদী হাসান মিঠু মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় বিরিয়ানি হাউজে কুকুরের মাংশে বিরিয়ানি রান্না করা হয় বলে প্রচার করতে থাকে। এই বিষয়টি অনুসন্ধান চালিয়ে সঠিক নিউজ প্রকাশ করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এই ক্ষোভ থেকে আমাকে আজ মারধর করে আটকে রেখেছিল।

এব্যাপারে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোঃ শহিদুল্লা মুন্সি বলেন, লিটন যেটা করেছে এটা একে বারেই ঠিক করেনি। ব্যক্তি আক্রোশ চরিতার্থ করতে আশুলিয়া প্রেসক্লাব ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। আমি নুর আলম সিদ্দিক মানুকে দাওয়াত দিয়েছি। আমার সামনে এটা করা মানে পেশাদারিত্ব থেকে লিটন অনেকটাি দূরে।

আশুলিয়া রিপের্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম বলেন, এমন আচরণে আমরা মর্মাহত। একজন সাংবাদিককে মারধর ও নির্যাতন করে আটকে রাখার বিষয়ে রিপোর্টার্স ক্লাবের কেবিনেট সদস্যদের নিয়ে তাৎক্ষণিক মিটিং করেছি। মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।