সব
ঢাকার সাভারে আসন্ন পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে জমে উঠতে শুরু করেছে প্রচারণা। তবে প্রচারণা শুরু হতে না হতেই আচরণবিধি ভঙ্গের যেন মহোৎসব শুরু হয়েছে একটি ইউনিয়নে। কোনরকম বিধির তোয়াক্কা না করেই সড়ক বন্ধ করে শত
শত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, হায়েস, অটোরকিশা দিয়ে শোডাউনের অভিযোগ উঠেছে
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পিকআপ ভ্যানে ব্যান্ডপার্টির মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে লঙ্ঘন করেছেন নির্বাচনী আচরণ। দিনভর প্রচারণা শেষে নিজ বাড়িতে তেহারি খাইয়ে লোকজনকে প্রলুব্ধ করারও প্রমাণ মিলেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরুলিয়া ইউনিয়নের মিরপুর-বিরুলিয়া ব্যস্ততম সড়কসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে কয়েক’শ গাড়ি নিয়ে শোডাউন হয়।
অভিযোগ ওঠা নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনকে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে মুঠোফোনে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে এমএমএস করা হলেও উত্তর দেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী লিটন আহমেদ বলেন, আজ সকালে প্রায় ২০০ মোটরসাইকেল, ৩০টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস, ২০-৩০টি অটোরিকশা নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজন। একটি ছাদ খোলা প্রাইভেটকারে হাত নাড়িয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে
প্রচারণা চালান। ওই সময় দুটি পিকআপ ভ্যানে ব্যান্ডপার্টির সদস্যরা বাদ্য বাজাচ্ছিলেন। পরে বিকেল ৩ টার দিকে নিজ বাড়ি কাকাবো এলাকায় তেহারি রান্না করে প্রায় দুই হাজার মানুষকে খাওয়ান তিনি।
বিরুলিয়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, মিরপুর-বিরুলিয়া সড়কে কয়েকশ মোটরসাইকেল ও গাড়িঘোড়া নিয়ে শোডাউন করেন নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান। এসময় পুরো সড়কে দীর্ঘ সময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়েও বিপাকে পড়েন। নির্বাচনী প্রচারণার নামে এটা শুধুই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া কিছুই না।
নুরুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, দুর্ভোগ কমাতে ও প্রত্যাশা পূরণে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে সাধারণ মানুষ। কিন্তু
নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমেই যদি প্রার্থী মানুষের ভোগান্তি ও দুর্ভোগে ফেলেন তাহলে এটা দুঃখজনক।
সাভার উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফখর উদ্দীন শিকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মোটরসাইকেল, গাড়ি ও ব্যান্ডপার্টি এসব নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা যাবে না। আপনার কাছে পাওয়া ওই প্রার্থীর আচরণ বিধি ভঙ্গের ভিডিও ও ছবি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিয়ে দিচ্ছি। পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এমন বিষয় আমার জানা নেই। ওই প্রার্থীর আচরণ বিধি ভঙ্গের প্রমাণাদি গুলো আমাকে দ্রুত পাঠান। এ বিষয়ে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।