ধামরাইয়ে ফুট ওভারব্রীজ উদ্বোধন

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

পরের সংবাদ

র‌্যাগিংয়ের শিকার জাবি শিক্ষার্থী এখন অনেকটাই সুস্থ্য

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৯:২৫ অপরাহ্ণ, ১২/০৩/১৮

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
নিজ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে নবীন শিক্ষার্থীর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে এক শিক্ষার্থী। নিজে পিতা, আত্মীয় স্বজনসহ কাউকেই চিনতে পারছিল না। ভুক্তভোগী কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মিজানুর রাহমান র্দীঘ ২০ দিন জাতীয় মানসিক ইনিস্টটিউডে চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে নিজ বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার কাইকোসিয়াকান্দা গ্রামে আছেন বলে জানান মিজানুরের বাবা আজিজুল হক।

ফোন আলাপে এক্সপ্রেস প্রতিবেদকে জানান, আল্লাহর রহমত এবং সকলের দোয়ায় আমার ছেলেটা এখন মোটামুটি সুস্থ্য আছে। আমার বাড়িতেই আছে। আরো এক সপ্তাহ রেস্ট নেওয়ার পর আমি নিজে ক্যাম্পাসে গিয়ে ছেলেটাকে রেখে আসব।
তিনি তার ছেলে সাথে ঘটে যাওয়া র‌্যাগিংয়ের সর্ম্পকে বলতে গিয়ে বলেন, ভুল বশত তারা এ কাজটি মনে হয় করে ফেলছে। তারা যদি বুঝত তাহলে মনে হয় আমার সহজ সরল ছেলেটার সাথে এ কাজটি করত না। সবার বাপ মাই তো তার সন্তান নিয়া অনেক আশা করে। যারা আমার ছেলেকে র্নিযাতন করছে তাদের বাপ মাও তো তাদের নিয়ে স্বপ্ন। সবাই বাবা মার স্বপ্নের কথা চিন্তা করলে এমনটি করত না। আমার আশা এমন ভুল যাতে আর কেউ না করে। কোন বাবা মা সন্তানের সাথে যাতে আর এমনটি না ঘটে। এখন আমার চাওয়া সুস্থ্য হয়ে আমার ছেলেটা যেন সবার সাথে মিলে মিশে লেখা পড়া করতে পারে।
এদিকে ভুক্তভোগী কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. মিজানুর রাহমানের কথা হয় এক্সপ্রেস প্রতিবেদকের সাথে ফোন আলাপে তিনি জানান, আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই সুস্থ্য আছি এখন। তবে রাতে ঘুম আসতে চায় না। ভুল বশত তারা আমার সাথে এ কাজটি মনে হয় করে ফেলছে। এরকম আর কারো সাথে যাতে না হয় সে কামনা থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ এবং ৮ ই ফেব্রুয়ারি নিজ বিভাগ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর ৪৬ তম আবর্তনের কিছু শির্ক্ষাথী পরিচিত হওয়ার নামে মিজানুরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। মিজানুর সহজ-সরল হওয়ায় সিনিয়ররা তাকে আলাদাভাবে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়াসহ শারীরিক নির্যাতন করে। মিজানুরের বরাদ্দকৃত শহীদ সালাম বরকত হল ছেড়ে আ. ফ. ম. কামালউদ্দিন হলে আসতেও চাপ প্রয়োগ হলের সিনিয়ররা। এ ঘটনার পর থেকে বন্ধুদের সাথে অস্বভাবিক আচরণ করতে থাকে। হলের সিনিয়র শিক্ষর্থীরাক্ষার্থীরা তাকে দেখতে আসলে ‘তুই আমার জীবন শেষ করেছিস, তোরা আমাকে মেরে ফেলবি’ এমন অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে। তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে ৯ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে তার পিতা ও চাচা ক্যাম্পাসে আসে। তবে সেসময় স্বজনদের মিজানুর চিনতে পারেনি, এমনকি বাবাকেও চিনতে পারেনি সে।