পদত্যাগ করেছেন ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম

আগের সংবাদ

সাভারে নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ৫৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনটি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১০:১২ অপরাহ্ণ, ০৮/১১/২৩

সাভারের আশুলিয়ায় জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে অপহরণের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের মুলহোতাসহ দুইজনকে করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। এ সময় তাদের নিকট থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ১টি বিদেশী রাইফেল ও ৩টি ম্যাগাজিনসহ ৫৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।

এর আগে মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) রাতে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার দপগ্রাম এলাকার আব্দুল খলিলের ছেলে আব্দুল জলিল (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার ফুলফুর উপআব্দুলজেলার বাঘের কান্দা এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া (৩৩)। তারা উভয়ের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। এদের মধ্যে আব্দুল জলিল আশুলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমি দস্যূ গ্রুপের মুলহোতা বলে জানায় র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, একটি অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকা থেকে অপহৃত ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা জলিল সহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ সময় জলিলের কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে, অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন পজিশনে রয়েছে তাদের এ ধরনের চারটি ছবি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ছবিতে দৃশ্যমান অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে র‍্যাব-৪ অভিযান শুরু করে এবং গুলি সহ আরো দুইটি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশী পিস্তল এবং রাইফেল গুলো রাজুর নামে একজনের নামে নিবন্ধিত। যে এলাকায় চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জলিল জানায় যে, রাজু তার নামে নিবন্ধিত অস্ত্রগুলো বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য জলিল ও তার সহযোগীদের ভাড়া দিয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন ভাবে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে রাজুর বৈধ অস্ত্রগুলো জলিল সহ অন্যান্য বিএনপির সন্ত্রাসীদের কাছে ভাড়া দিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবহার হচ্ছিল। রাজু এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমের লভ্যাংশ ভোগীয় বটে।

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জলিল আরো জানায় যে, সে বিরোধী রাজনৈতিক দলের একজন সক্রিয় কর্মী। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করতে এবং তার অপরাধমূলক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সংঘটিত করতে জলিল সদা সক্রিয় রয়েছে।

র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজী, ভূমি দখল, মারামারী সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ভবিষ্যতে এরূপ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।