আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আগের সংবাদ

স্কেটিং সু না পেয়ে যে কাণ্ড ঘটাল কিশোর

পরের সংবাদ

নলকূপে পানি নেই, জনজীবন বিপর্যস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :৫:৩০ অপরাহ্ণ, ১৭/০৪/২৩

তীব্র গরমে চারঘাটের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং বাড়িয়ে দিয়েছে কষ্ট আরও দশ গুন। ফলে মানুষের জীবন মান চরম কষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

গত কয়েক মাসে এক ফোঁটাও বৃষ্টি না হওয়ায় ভূ-উপরিস্থ পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে। তীব্র খরা, বৃষ্টিহীনতার কারণে উপজেলার জনজীবন এখন হাঁসফাঁস হয়ে উঠেছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য বলছে, উপজেলায় গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০টি। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত তিন বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে ৪৬২টি। এসব নলকূপের জন্য দুটি লেয়ার রয়েছে। প্রথম লেয়ারে পানি উত্তোলনের ক্ষমতা রয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ ফুটের মধ্যে এবং দ্বিতীয় লেয়ারে ১ হাজার থেকে ১১০০ ফুটের মধ্যে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মাছ উৎপাদনসহ নানা কাজে খেয়াল-খুশিমতো গভীর নলকূপ স্থাপন করায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে গেছে।

উপজেলার ইউসুফপুর, পিরোজপুর, শলুয়া, নিমপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ টিউবয়েলে পানি নেই। দুএকটি টিউবয়েলে পানি উঠলেও একেবারেই কম। যে পানি দিয়ে কোন খাওয়া দাওয়া তো দূরের কথা, মৌলিক কাজই করা সম্ভব না ।

উপজেলার ইউসুফপুর এলাকার বাসিন্দা আফাজ আলী জানান, এমনি প্রচন্ড খড়া, তার উপর রোজায় পানি না থাকায় চরম দুর্বিসহ হয়ে উঠছে জনজীবন। সব চেয়ে কষ্ট লাগে ইফতারীর সময় অন্যের বাড়ীতে গিয়ে পানি আনতে হয়।

উপজেলা সদরের বাসিন্দা আফরোজা বেগম বলেন, উপজেলা সদরের বাসিন্দা হয়েও এ সময় পানির চরম সংকট। সারাদিন তো পানি উঠে না। রাতের বেলায়ও পানি পাওয়া যায় না। এ কষ্ট লাঘব যে কবে হবে। আশে পাশের বাড়ীতে মর্টারের পানি এনে খাওয়া দাওয়া ছাড়াও পরিবারের অন্য কাজ কর্ম করতে হয়।

মিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা রাবিয়া বেগম বলেন, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এমনিতে চরম কষ্ট। তার উপর টিউবয়েলে যে টুকু পানি উঠে সবটুকুই আসেনিক যুক্ত। ফলে সে পানিও পান করা যায় না।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, সারা বিশ্বেই আজ পানির সংকট। ২০০৬ সালের পার থেকে পানির এমন সংকট সৃষ্টি হয়ে আসছে। এখন এটা প্রকট আকার ধারন করেছে। নদী, খাল-বিলে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত গভীর নলকূপ স্থাপন এবং একসঙ্গে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে