প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

আগের সংবাদ

১০০ কাপড়ের দামে আগুনে পোড়া জামা কিনলেন মিম

পরের সংবাদ

ভিড় আছে বিক্রি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :২:২১ অপরাহ্ণ, ০৬/০৪/২৩

আর কদিন পরই বাংলা নববর্ষ। এর পরপরই ঈদুল ফিতর। দুটি উৎসবই খুব কাছাকাছি। কিন্তু এখনো জমে ওঠেনি বরিশালের নববর্ষ ও ঈদবাজার। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অর্থ সংকটের কারণেই এমনটা ঘটছে বলে জানা গেছে। বিক্রেতারা যেমন অর্থ সংকটের কারণে পণ্য দোকানে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন। তেমনি ক্রেতারা ঈদবাজারে ঘুরলেও পছন্দের পণ্য কেনার সাহস করছেন না।

সারা দেশে আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ পালিত হবে। এর ঠিক সপ্তাহখানেক বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। দুই উৎসবকে ঘিরেই ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বরিশালের শপিংমল ও মার্কেটগুলো। কিন্তু ক্রেতাদের উপস্থিতির তুলনায় পছন্দের পণ্য কেনার প্রবণতা কম। তবে অনেকে মাসের প্রথমে বেতন পেয়েই ছুটে আসছেন মার্কেটে। আগেভাগেই তারা কেনাকাটা করছেন। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই এখনো কেনাকাটা করেনি।

শাম্মি আক্তার নামে এক গৃহবধূ জানান, শুধু ছেলের ও তার দাদির জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। আমাদের স্বামী-স্ত্রীর জন্য এ বছর কেনাকাটা নাও হতে পারে। জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সাহস করতে পারছি না। রাশিদা বেগম নামে আরেকজন ক্রেতা জানান, আমরা স্বামী-স্ত্রী এবার কিছু নেব না। কিন্তু নাতি-নাতনিকে তো দিতে হবে। ছেলে ৩ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। তা দিয়ে ৪ নাতি-নাতনিকে জামাকাপড় কিনে দিলাম। এই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতেই আমাদের কষ্ট হয়। তারপর আবার জামাকাপড়!

চকবাজারের জাহানারা মার্কেটের দোকানি মো. মওদুদ বলেন, দুটি উৎসব সামনে। কিন্তু বেচাকেনা নেই। কেউ কেউ এসে ঘুরে যাচ্ছেন, কিনছেন না। তিনি বলেন, দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ধার করে দোকানে পণ্য তুলেছি। কিন্তু বেচাকেনার অবস্থা খুবই খারাপ। জানি না ধার পরিশোধ করতে পারব কিনা। আরেক ব্যবসায়ী জানান, করোনা মহামারির প্রকোপ না থাকায় প্রায় তিন বছর পর এবার প্রাণখুলে মুক্ত বাতাসে পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উদযাপন করবেন ক্রেতারা। এ কারণে ধার করে বেশি পণ্য দোকানে তুলেছি। কিন্তু বেচাকিনা নেই। কী করব বুঝতে পারছি না।

তবে বরিশাল নগরীর সদর রোডের টপটেন, চন্দ্রবিন্দু, পোশাক বাজার, ভারগো, প্লাস পয়েন্ট, ইজি, দর্জিবাড়ি এবং বৈশাখী শোরুমে ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। তুলনামূলকভাবে একটু অবস্থাপন্ন ক্রেতারা এসব অভিজাত শোরুম থেকে পণ্য কিনছেন। তবে এসব শোরুমেও পোশাকের মান নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের দাবি, বেশিরভাগ দোকানে তারা ভালো মানের পোশাক পাচ্ছেন না। দাম নিয়েও রয়েছে অসন্তুষ্টি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে পোশাকের দাম। পাশাপাশি এলসি সমস্যার কারণে ক্রেতাদের চাহিদামতো পণ্যের জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।