সব
মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে আশুলিয়া থানায় এসে ওই নারী শ্রমিক একটি লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার ওই নারী শ্রমিককে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার সময় উত্যক্ত করে আসছিল সোহেল, ইকলাস, জহির ও লাভলুসহ কয়েকজন বখাটে। এসময় স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাদল শেখের ম্যানেজার পরিচয়দানকারী সোহেল তাকে নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ১৯ জুন বিকেলে রাজ্জাক নামে এক যুবক ভুক্তভোগীর বাসায় সিলিং ফ্যান সাড়াতে আসলে তাকে নিয়ে কুৎসা রটনা করতে থাকে বখাটেরা। এমনকি ওই নারীকে মারধরের পর ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে ভিডিও ধারণ করে।
এসময় যুবলীগ নেতার ম্যানেজার পরিচয়দানকারী সোহেল ভুক্তভোগীর কানের দুল, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাজ্জাককে যুবলীগ নেতা বাদল শেখের অফিসে ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বখাটে সোহেল ও তার সঙ্গীরা।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, এঘটনার পর গত ২২জুন সন্ধ্যায় সোহেল ও তার সঙ্গীয় কয়েকজন ভুক্তভোগী ওই নারীর বাসায় এসে তাকে শ্লীলতাহানি করে। এসময় ওই নারী চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় বখাটেরা।
এদিকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী বাদল শেখের নেতৃত্বেই তার ম্যানেজার বখাটে সোহেলসহ তার লোকজন নানা হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বাদল শেখ জানান, তার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওই নারী খারাপ কাজের সাথে জড়িত। মূলত তাকে হেয় করতেই কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্টো তার ম্যানেজার সোহেলকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী জানান, নারীর শ্লীলতাহানির কোন অভিযোগ হলেও এর নথি তিনি এখনও পাননি। তবে পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।