ভাড়াটিয়া দম্পতিরা হলেন আবদুল হামিদ ও নিশা আক্তার। নিশা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তাঁর স্বামী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
নিশা আক্তার বলেন, তিনি বেতন পান ৮ হাজার টাকা। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি অর্ধেক টাকা বেতন পেয়েছেন। এদিকে তাঁর স্বামীর কাজ নেই। তাই বাসাভাড়ার ২ হাজার টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকা দিয়ে বাকিটা পরের মাসে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু বাসার মালিক সবুজ মিয়া তা মানতে নারাজ। গতকাল রাত ১০টার দিকে বাকি টাকার জন্য তাদের গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন বাড়িওয়ালা।
তিনি আরও বলেন কেয়া আক্তার নামের অন্ন্য এক বাড়াটিয়াকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বাড়িওয়ালা সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাড়া দিতে না পারায় তাঁদের বের করে দিয়েছি। এ রকম না করলে ভাড়াটিয়ারা সুযোগ পেয়ে যাবেন।’
পরে বিষয়টি আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদকে জানানো হয়। তিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পাঠান। রাত ১২টার দিকে আজাহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিক সবুজ মিয়ার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ঘরে তুলে দেন।
এসআই আজাহারুল ইসলাম আরও বলেন, বাড়ির মালিক তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। এ জন্য তিনি অনুতপ্ত। এ ছাড়া নিশা ও কেয়ার তিন মাসের ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন তিনি।