লাখো মানুষের স্বপ্নপুরন; আশুলিয়ায় ‌ডেন্ডাবর-ঘোড়াপির' সড়ক উদ্বোধন

আগের সংবাদ

ধামরাইয়ে ট্রাক চাপায় দুই ভাই নিহত

পরের সংবাদ

চলন্ত বাসে ডাকাতিকালে চালক খুন; আশুলিয়ায় বাসসহ চালকের মৃতদেহ উদ্ধার

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ১৩/০২/১৮

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী যাহিবাহি বাস আশুলিয়ায় ডাকাতের কবলে পড়ে ছুরিঘাতে চালক খুন হয়েছে। এসময় ডাকাতের হামলায় বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার গুরুতর জখম হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে যাত্রীবাহি বাসটি।

মঙ্গলবার ভোরে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় বাসের ভিতর থেকে শাজাহান নামে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে বাসটি উদ্ধার করা হলেও ডাকাত সদস্যদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

নিহত শাহজাহান টাঙ্গাইল সদর জেলার চরজানা গ্রামের মৃত বিশা মিয়ার ছেলে। এছাড়া আহত গাড়ির হেলপার টাঙ্গাইল সদরের বিশ্বাস বেতকা গ্রামের মৃত মীর সানোয়ার হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়া ও সুপারভাইজার  শহিদুল খান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার পাছতা গ্রামের মৃত ইবাদাত খানের ছেলে।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওবায়দুল ইসলাম (ইন্টিলিজেন্স এন্ড কমিউনিটি পুলিশি) বিষয়টি নিশ্চিত করে হেলাপার ও সুপারভাইজানের বরাত দিয়ে জানান, গতকাল রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল ধলেশ্বরী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা যাচ্ছিল । এসময় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে ১০/১২  ডাকাত সদস্য যাত্রীবেশে বাসে উঠে। ডাকাত সদস্যরা বাসটি নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু চালক তাদেরকে বাসের চাবী দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় চালক ও হেলপারকে বাসের পিছনের সিটে বেধে রাখে ও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে বাসটি নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় নিয়ে আসে ডাকাত সদস্যরা। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ লুটপাট করে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাসটি পুলিশ উদ্ধার করে। এসময় বাসে পিছনের সিট থেকে চালক শাহজাহান মিয়ার,  সুপারভাইজার শহিদুল ও হেলপার বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহজাহান মিয়াকে মৃত ঘোষনা করে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপারভাইজারকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এঘটনায় ডাকাত সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।

তিনি আরও জানান, কয়েকজন যাত্রী থাকলেও তারা ভয়ে যে যার মতো চলে গেছেন। তাদের বিষয়েও খোঁজ  নেয়া হচ্ছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আশুলিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।