সব
সাভারের আশুলিয়ায় রাসেল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারী আব্দুল মতিন (৩০) কে পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামী তার বন্ধু রাসেলকে পাওনা টাকার জন্য ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ। এর আগে বুধবার রাতে পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার আলীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল মতিন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার চরচালা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত রাসেল সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার গারামাসি এলাকার বাবুল সরকারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১২ অক্টোবর আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকার শফিকুল ইসলাম টুকুর বাড়ি থেকে রাসেল হোসেন (৩০) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে। পরবর্তীতে বুধবার রাতে পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে অভিযানে নেমে আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার গাজীরচটে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ইট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানায়, হত্যাকারী মতিন ভুক্তভোগী রাসেলের ছোট ভাই মাসুদকে এয়ারপোর্টে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা নেয় কিন্তু তার ভাইকে চাকুরি না দিয়ে উক্ত টাকা নিয়ে সে লাপাত্তা হয়ে যায়। পাওনা টাকার জন্য গত ৭ অক্টোবর নিহত রাসেলসহ ৩/৪ জন মিলে মতিনকে ঢাকার উত্তরা থেকে ধরে এনে ঘটনাস্থলের ওই রুমে আটকে রাখে এবং রাসেল নিজেও তার সাথে একই রুমে থাকে। ঘটনার দিন গ্রেপ্তার মতিন ভুক্তভোগী রাসেলকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ জানান, আসামি প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত ইট উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।