সব
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করে আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন রাকিব হাওলাদার( ৩০)। এরপর গোপনে ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর প্রতিকার চাইতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী।
রোববার (১৫ই আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বাইপাইল আশুলিয়া প্রেস ক্লাবে এসে ভুক্তভোগী নারী সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার ভোলা জেলার বাংলাবাজার থানার বৈরাগী উত্তর দিঘলদী গ্রামের মোজাম্মেল হক হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন এবং একটি পোশাক কারখানার পিকআপ চালক হিসেবে কাজ করছেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “এপ্রিলে মাসে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আমাদের, একপর্যায়ে প্রেম। এর বেশে কিছু দিন পর আমাদের দেখা হয়। তখন আমারা বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেই।
একপর্যায়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় এবং জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের কিছু ভিডিও ধারণ করে রাখে সে। সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে অনেক বার ধর্ষণ করে। বার বার অনুরোধ করেও ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করেনি। উল্টো যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এছাড়া আবাসিক হোটেলে দেখা না করলে আত্মীয় স্বজনের কাছে ভিডিও পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে বিয়ের কথা বলা হলেও সে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। কোন উপায় না পেয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে থানায় যাই। কিন্ত সেখানে কোন সমাধান না পেয়ে কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। এরপর মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হুমকি দেয় আমাকে। মামলা হওয়ার পরও আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।”
অভিযুক্ত রাকিব হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, “আমি এই নারীকে চিনি, কিন্তু তার সাথে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। সে আমাকে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে হয়রানি করছে। আমি বর্তমানে ঢাকার বাইরে আছি, তবে আপনাদের সাথে দেখা করে বিস্তারিত জানাবো।”