বিছানায় পড়েছিল নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ

আগের সংবাদ

আশুলিয়া প্রেসক্লাবকে স্বৈরাচার ও দালালমুক্ত ঘোষণা

পরের সংবাদ

ফুটপাতে রমরমা বাণিজ্য! আতিক-জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার উৎস কি?

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১২:৫০ অপরাহ্ণ, ০৯/০৮/২৪

সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ডিইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কের ফুটপাত দখলে নিয়ে দোকান বসিয়ে লাখ লাখ টাকার চাদাবাজি করছে জাহাঙ্গীর ও আতিক নামের দুইজন। এদের সঙ্গে রয়েছে কামাল নামের একজনও। শুধু ফুটপাতি নয়, তাদের দখলে রয়েছে মহা সড়কের এককাংশও। এতে করে মহাসড়কে বাড়ছে যানজট, বাড়ছে দূর্ঘটনা। পথ চলায় নেই কোনো স্বস্তি, বেড়েই চলেছে বিড়ম্বনা।

শিল্পাঞ্চলবাসীর জন্য এ বিচিত্র অভিজ্ঞতা একদিনের নয়, প্রতিদিনের। সব মিলিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত এই এলাকায় বসবাসরত পোশাক শ্রমিকসহ এলাকাবাসী। এ নিয়ে সমালোচনারও যেন শেষ নেই। কিন্তু কোনো পদক্ষেপেই কোনো কিছু হচ্ছে না।এতে করে মহাসড়কে বাড়ছে যানজট, বাড়ছে দূর্ঘটনা। পথ চলায় নেই কোনো স্বস্তি, বেড়েই চলেছে বিড়ম্বনা। শিল্পাঞ্চলবাসীর জন্য এ বিচিত্র অভিজ্ঞতা একদিনের নয়, প্রতিদিনের। সব মিলিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত এই এলাকায় বসবাসরত পোশাক শ্রমিকসহ এলাকাবাসী। এ নিয়ে সমালোচনারও যেন শেষ নেই। কিন্তু কোনো পদক্ষেপেই কোনো কিছু হচ্ছে না।

আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নতুন ইপিজেড ও বলিভদ্র বাজার এলাকার ফুটপাতের প্রায় ছয়শতাধিক দোকান রয়েছে। যার প্রত্যেক দোকান হতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। গড়ে ২০০ টাকা ধরলে দিনে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়। সেই হিসেবে মাসে ৩০ লাখ থেকে অর্ধকোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে আশুলিয়ার এই সড়ক-মহাসড়কের দুই স্থানে। লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করা হলেও এর সিকি অংশও সরকারের কোষাগারে যায় না। ফুটপাতে ব্যবসা করতে হলে প্রত্যেক হকারকেই এককালীন অফেরত যোগ্য ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিইপিজেডের পুরতান জোন এলাকা হতে বলিভদ্র বাজার পর্যন্ত চার শতাধিক দোকান দেখাশোনা করে আতিক ও জাহাঙ্গীর নামের দুইজন। অবশ্য সেখানে টাকা তোলার জন্য রুহুল নামের একজনকে বেতন দিয়ে রাখা হয়েছে। বলিভদ্র এলাকার আনবিকের সামনের ২ শতাধিক শতাধিক দোকান থেকে টাকা নেন কামাল নামের একজন। তারা সবাই ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডলের লোক বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হকার জানান, চাঁদার টাকা না দিলে দোকান রাখা অসম্ভব। শুধু চাঁদার টাকা নয়, বসার জন্য তাদেরকে এককালীন অগ্রিম টাকাও দিতে হয়। প্রথমে লাইনম্যানরা টাকা তুলে পরে তা ভাগাভাগি করে। তবে টাকার বড় অংশই চলে যায় গডফাদারদের পকেটে। এখানে আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতারা তাদের ঘনিষ্ঠদেরকে লাইনম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন।

শিল্পাঞ্চলবাসীর প্রশ্ন, এভাবে কি আর আশুলিয়ার দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে? ফুটপাতে চাঁদাবাজির নেপথ্যের প্রভাবশালী মহলকে নিবৃত করবে কে? তাদের ক্ষমতার উৎস কি? তারা কি সব সময় ধরা ছুয়ার বাহিরে রয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ধামসোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মন্ডলের মুঠোফন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা থেকে ঢাকার আশুলিয়ায় এসে মন্ডল মার্কেটের চায়ের দোকান দেয়া আতিক এখন অঢেল সম্পদের মালিক, তার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দেশবাংলা। তার গ্রামের বাড়িতে রয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার একটি মাছের ঘের, ঢাকার আশুলিয়ার কন্ডা এলাকায় কিনেছেন অর্ধকোটি টাকার বাড়ি, বলিভদ্র মন্ডল মার্কেটে রয়েছে ১০-১২টি পাঞ্জাবি ও বোরখার দোকান। নিজের ব্যবহার করেন আরওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল, রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেটকারও। হাতে রয়েছে দামি ২-৩ টি মোবাইল ফোন। সব মিলিয়ে তিনি এখন অঢেল সম্পদের মালিক।

এ বিষয়ে আতিক হাসান বলেন, আমি কোনো চাদাবাজির সাথে যুক্ত নই। আর জাহাঙ্গীর মুঠোফোনে বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি। এবিষয়ে পরে কথা বলবো।