আশুলিয়ায় বাস চাপায় নিহত ১; আহত ১০

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় যুবলীগের কমিটি ঘোষনা; আহবায়ক কবির ও যুগ্ম আহবায়ক মইনুল

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১:২০ অপরাহ্ণ, ২২/০৭/১৭

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

মাদক ব্যবসা ও সেবনে বাধাঁ দেওয়ার কারণে যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক সম্রাট আসলাম বাহিনী। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে যুবলীগ কর্মী জামসেদ আলম খোকন। তবে এখনও আসলাম ও তার বাহিনীর কোন সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার ভোরে আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম বাইপাইল এলাকায় দীর্ঘ দিনধরে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে হানিফ নামের এক ব্যক্তি মাদক ব্যবসা করে আসছে। এর আগে অনেক বার পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে যায়। আশুলিয়া থানার পূর্ববর্তী ওসি মহসিনুল কাদির থাকাকালীন সময়ে তাকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেওয়ার পর থেকে তার শালা আসলামকে মাদক ব্যবসার দায়িত্ব দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। সে সময় থেকে এলাকার মাদকসেবীদের নিয়ে একটি মাদ্রক সাম্রাজ্য তৈরী করে আসলাম। এলাকায় প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করে সে। এছাড়া রাত হলেই বাহিনী নিয়ে পোশাক শ্রমিকসহ সাধারন মানুষের উপর হামলা চালিয়ে ছিনতাই , চুরি ও মারধর করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই মারধরসহ হত্যার হুমকি দেয়। এতে তার ভয়ে কেউ অভিযোগ করার সাহস পায় না। পরবর্তীতে ওসি বদলি হওয়ার পর হানিফ পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। পরে দুজন মিলেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিবাদ করলেই মারধর ও মাদক মামলার হুমকি দেয় তারা।

আহত জামসেদ আলম খোকন জানান, গত কয়েকমাস ধরে দেওয়ান মার্কেটের আশেপাশে ইয়াবা ব্যবসা করছিল। এছাড়া মার্কেটের ভিতরে থাকা দোকানীদের হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের দোকানে বসে কেনা বেচাঁ করতো। এ বিষয়ে আমার কাছে দোকানীদের অভিযোগ পাওয়ার পর মার্কেটের মালিক ও আসলামরে চাচা কুদরত দেওয়ানের কাছে জানানো হয়। পরে গতকাল সন্ধ্যায় একটি গ্রাম সালিশের মাধ্যমে তাদের সর্তক করে দেওয়া হয়। সে ক্ষোভে আসলাম তার দলবল নিয়ে যুবলীগ কর্মীর উপর হামলা চালায় । এসময় রড, লাঠি দিয়ে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে করে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করে যুবলীগ কর্মী।

আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) অভিজিৎ চৌধুরী জানান, অভিযোগ দাযের পর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাদের আটকের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।