সব
ঢাকার ধামরাইয়ে ভুড়াইল গ্রামের সেই ক্যাসিনো মইন মেম্বারের স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ক্যাসিনো ব্যবসা নির্বিঘ্ন রাখার শর্তে বাদল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মইন মেম্বারের কাছ থেকে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম ভাঙিয়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বৃহস্পতিবার সকালে এ টাকা নেয় বাদল। শুক্রবার সকালে ওই ক্যাসিনো থেকে মইন মেম্বারের শ্যালক রামেদুল আহসান রাসু, বজুলুর রশিদ বজলু, মগবুল হোসেন ও আয়নাল হক নামে ৪ সহযোগীকে আটক করে ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশ।
এ ঘটনার পর টাকা ও সম্মানের কথা ভেবে মইন মেম্বার অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা বাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ডে গেলে হঠাৎ ঢলে পড়ে যান তিনি। জরুরি ভিত্তিতে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মইন মেম্বারের শ্যালক রাসু জানান, আমার ভগীনিপতি নিরাপত্তার কথা ভেবে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার পরও যখন ডিবি পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তখনই তার হাইপারটেনশন শুরু হয়ে যায়। এরপর তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
বদরুল আলম নামে এক এলাকাবাসী বলেন, মইন মেম্বার ক্যাসিনো ব্যবসাকে নিরাপদ করতে ৪ লাখ টাকা দেন এক ব্যক্তিকে। তিনি কাউকে এ টাকা না দিয়ে তা একাই আত্মসাৎ করেন। এরপর তার শ্যালকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ চিন্তা থেকে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বাদল হোসেন বলেন, আমার কাছে মইন কোনো টাকা পয়সা দেয়নি। এখন সে নেই বলে যে যা খুশি আমার বিরুদ্ধে বলবে আর আমি তা অকপটে মেনে নেব, তা কী করে হয়। মইন মেম্বার যদি কবর থেকে এসে বলে তাহলে আমি মেনে নেব।
ঢাকা উত্তর ডিবি অফিস সূত্র জানায়, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী মইনের ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।