সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
আশুলিয়ার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ্ হয়ে পরেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রিয়া নামে ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে ওষুধ খাওয়ানোর পর ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ্ হয়ে পরে। সরকারি ভাবে ১ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব ঘোষনা অনযায়ী শিক্ষার্থীদের খাওয়ানো হয়।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শিক্ষার্থীকে অসুস্থ্ অবস্থায় অভিভাবকরা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ্য সবাই ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। অসুস্থ্য হয়েছে- ৫ম শ্রেণীর সারামন, রিয়া মনি, রিয়া আক্তার, তাসিন আক্তার, চুমতি আক্তার, সারজানান আক্তার, রোকছানা আক্তার রামিম হাসান ও প্রথম শ্রেণীর বৃষ্টি আক্তার। তার মধ্যে রিয়া আক্তারকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষীকার কক্ষে জেনারেল ফার্মা কৃমিনাশক ওষুধের দুইটি বক্স রাখা আছে। উৎপাদন তারিখ ২০১৪ সালের আগষ্ট ও মেয়াদার্ত্তীন তারিখ ২০১৭ সালের আগষ্ট।
অভিভাবাকরা জানান, অসুস্থ্য হওয়ার খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসি। আমাদের মেয়েরা শরীর খিঁচুনি ও বুমি করছে। তাদের স্থানয়ি বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তার অভিযোগ করে আরও বলেন, সরকারি ওষুধ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে, তাদের চিকিৎসা খরচ বা দ্বায়বার কে নেবে?
এ বিষয়ে রস্তমপুর প্রাথমিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষার্থী জান্নতুল ফেরদৌস জানান, পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী স্স্থ্যবা কর্মীরা স্কুলের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ায়। এসময় ১০ জন শিক্ষার্থী পেটে ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমজাদুল হক জানান, অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। শিক্ষার্থীদের বেলজিয়ামের জনসন প্রতিষ্ঠানের মানসম্মাত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনাটি মনস্তাত্ত্বিক বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ফার্মার ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে ও মেয়াদ আছে মাত্র চার মাস। এইসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও জানান, যেহেতু সরকারি মনোগ্রাম রয়েছে সেক্ষেত্রে ঠিক আছে। তবু বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।