সব
রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে দ্রুত নগরায়ণ ও জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে সাভার ও আশুলিয়া মিলিয়ে ‘সাভার সিটি কর্পোরেশন’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। একইসঙ্গে কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনা পত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর প্রথম পক্ষের গোপনীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত প্রস্তাবটি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সাভারে পৌরসভা থাকলেও তা নাগরিক চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল—বিশেষ করে আশুলিয়া এলাকায় বিপুল শিল্পকারখানা, শ্রমিকবসতি ও আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠায় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে নগর ব্যবস্থাপনা প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আশুলিয়া এলাকায় যানজট, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত দুরবস্থায় নাগরিক চাহিদা পূরণে সাভার পৌরসভার সীমিত সক্ষমতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় থাকা আশুলিয়া এলাকায় পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সিটি কর্পোরেশন গঠন সময়ের দাবি।
অন্যদিকে, ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান বিস্তার ও জনসংখ্যার চাপের ফলে কেরানীগঞ্জ ও সাভার অঞ্চল দ্রুত অপরিকল্পিত নগরায়ণের মুখে পড়েছে। কেরানীগঞ্জে কোনো পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন না থাকায় সড়ক, ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এমতাবস্থায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানাতে বলা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর পাশেই আরেকটি আধুনিক সিটি কর্পোরেশন গড়ে উঠবে, যা শিল্পনগরী সাভার ও আশুলিয়ার দীর্ঘদিনের নাগরিক দুর্ভোগ নিরসনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।